March 18, 2025, 12:29 am
ইমন আল আহসান, পটুয়াখালী: বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাংলার মুক্তিকামী মানুষ হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান’র ডাকে সারাদিয়ে দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে। যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে ছিল। আর পরাজয় বরণ করেছিল পাক হানাদার বাহীনি। বাংলার আপময় জনগন সেই বিজয়কে বুকে ধারণ করে আজ স্বাধীন। প্রতিবছরে এই মাসটি এলেই আমাদের দেশের গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের সর্বত্রই বিজয় কেতন (জাতীয় পতাকা) উড়াতে নেয় নানান প্রস্তুতি। আর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় উদযাপনে দেশ ব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। এ দিবসটিতে একটি বিশেষ মর্যাদা পায় জাতীয় পতাকা। সেই জাতীয় পতাকার যোগান দিতে নানা বয়সী মানুষ এ সময়টাতে বিভিন্ন সাইজের পতাকা ও বিজয়ের ষ্টীকার নিয়ে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পায়রা বন্দর কলাপাড়ায় ঘূরে বেড়ায়। সেরকমই একজন পতাকা বিক্রেতা মোঃ আবুল বয়াতি যিনি মাদারীপুর জেলার চর কামার কান্ডী গ্রাম থেকে কলাপাড়া পৌরশহরে এসেছেন গত ১০ ডিসেম্বর। উঠেছেন শহরের একটি আবাসিক হোটেলে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার বয়স ৮ বছর আমি যুদ্ধ দেখেছি। অনেক ত্যাগের বিনিময় আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ আমি কৃষক কিন্তু ডিসেম্বর মাস এলেই আমার অন্য কোন কাজ ভালো লাগেনা শুধু এমাসে জাতীয় পতাকা স্মৃতিসৌদের ছবি সম্বলিত ষ্টীকার বিক্রি করি এতে প্রতিদিন আমার তিন থেকে চারশত টাকা লাভ হয়। লাভ বড় কথা নয় (জাতীয় পতাকা) কাধে নিলে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ মনে হয়। জাতীয় পতাকা বিক্রি করে আত্মতৃপ্তিতে আমার মন ভরে যায়।
Comments are closed.