July 27, 2024, 12:57 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
জেলা আওয়ামী লীগের নিন্দা ও প্রতিবাদ

জেলা আওয়ামী লীগের নিন্দা ও প্রতিবাদ

সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘সাংগঠনিক গতি না থাকায় নতুন নেতৃত্ব আসছে না আওয়ামী লীগে’ শিরোনামে সংবাদের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিবৃতিতে তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বিগত ০৭-০২-২০১৫ তারিখে আওয়ামী লীগের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সর্বশেষ কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। সেখানে শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষিত হয়। পরবর্তীতে জেলার সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট জমা দিলে ২০-০৩-২০১৬ তারিখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন সাপেক্ষে জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নিকট হস্তান্তর করা হলে নব গঠিত কমিটির শুরুতেই সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলাবাসীকে কমিটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ঘোষিত প্রতিটি জাতীয় কর্মসূচি পালন করা হয়েছে যেমন: ক) ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (খ) ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (গ) ৭, ১৭, ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন (ঘ) ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালন (ঙ) ২৩ জুন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন (চ) ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন (ছ) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন (জ) ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনসহ কেন্দ্রীয় ঘোষিত অন্যান্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে পালন করা হয়। সাংগঠনিক বিষয়ে আমাদের বক্তব্য যে, ৭টি উপজেলা ও ১টি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা কমিটি। বিগত ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে শ্যামনগর উপজেলা, ১১ জানুয়ারি ২০১৫ কালিগঞ্জ উপজেলা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ আশাশুনি উপজেলা, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ কলারোয়া উপজেলা, ২০ অক্টোবর ২০১৪ তালা উপজেলা, ১২ জুন ২০১৪ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ সাতক্ষীরা পৌরসভা এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে দেবহাটা উপজেলার কাউন্সিল অধিবেশন সম্পন্ন হয়। এই সম্মেলনগুলো বিগত জেলা আওয়ামী লীগের সময়ে সম্পন্ন করেছে। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র মোতাবেক আওয়ামীলীগের ৭টি অংগ ও ২টি সহযোগী সংগঠন আছে। অংগ সহযোগী সংগঠনগুলি সরাসরি কেন্দ্রীয় সংগঠনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তারা কখনও জেলার মতামতের তোয়াক্কা করে না। বর্তমান কমিটির সময়ে জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫৮টি নৌকা প্রতীক নিয়ে দলীয় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫টি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২টি উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কর্তৃক কৈফিয়ত তলব করে চিঠি দিয়েছেন। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে খুবই শক্তিশালী। জেলায় যে দলীয় ৩ জন সংসদ সদস্য আছেন তারাও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দুইজন এবং একজন উপজেলা সভাপতি। তারা তাদের স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত অর্থ গণমানুষের কল্যাণে ব্যয় করছেন। তাতে করে জেলাব্যাপী নৌকার ভোট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া এমপি সাহেবরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের চেয়ে পদমর্যাদায় অনেক বড় বিধায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়লে তাদের কাছে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপিং কিম্বা কোন্দল নেই। বর্তমান জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দুর্বারগতিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে এবং কোন ক্রমেই ৭-৮ বছর যাবৎ সম্মেলন হয়নি এমন ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের উপর নির্ভর করে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে মাত্র। সুতরাং সাংগঠনিক গতি না থাকায় নতুন নেতৃত্ব আসছে না এটা ঠিক নয়। নেতা তৈরি হয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আমাদের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে, ওয়ার্ড সম্মেলনের পরেই ইউনিয়ন সম্মেলন তারপর উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন হবে এবং সকল উপজেলা সম্মেলনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে ইন-শাআল্লাহ। প্রতিবাদে স্বাক্ষর করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাক মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com