October 23, 2024, 7:08 pm
কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক: এনিয়ে চলছে জোর জল্পনা কল্পনা। যারা আছেন তারাই থাকবেন, নাকি নতুন কেউ নেতৃত্বে আসবেন এনিয়ে দৃষ্ঠি এখন সবার সম্মেলনকে ঘিরে। শুরু হয়েছে উৎসব মুখর পরিবেশ। সম্মেলনস্থল শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক এলাকা সাজানো হয়েছে, রং বে রং এর ব্যনার ফেষ্টুনে। সেইসাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বৃহৎ পরিসরের বেশ কয়েকটি তোরণ।বৃহস্পতিবার শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সম্মেলনের উদ্বোধন করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পীযুস কান্তি ভুট্টাচার্য। প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকবেন বলে আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হলেও তিনি আসছেন কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগৈর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ এমপি, শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, এড. আমিরুল আলম মিলন ও মারুফা আক্তার পপি। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শেখ তন্ময় এমপি।
এদিকে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে দলের জেলা কমিটির মর্যদা সম্পন্ন খুলনা জেলা ও মহানগরের দুটি কমিটিরই সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন নতুন মুখ। গত নভেম্বর মাস থেকে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছে। তবে, সব জেলাতেই হাইকমান্ড থেকে গঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে কারা আসছেন সেটা নির্ভর করছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর। তারপরও গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হচ্ছেন তা নিয়ে জেলাবাসীর আগ্রহের কমতি নেই। আবার অনেকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ চেলেও ভিতরে ভিতরে চেষ্টা করছেন সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পত পেতে। তবে, একমাত্র এড. আজাহারুল ইসলাম নিজেকে সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী ঘোষণা ছাড়া অন্য কারো এ ধরণের ঘোষণা দিতে দেখা যায়নি। তবে, একাধিক সূত্র জানিয়েছে যার নাম আগের কমিটিতে নিচের দিকে ছিল এমন অনেকেই এবার উপরে উঠার জন্য ভিতরে ভিতরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচারণা চালালেও ১নং সহ-সভাপতি, ১ নং যুগ্ম সম্পাদক, ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক পদ হলে কেউ কেউ সন্তুষ্ঠ হবেন বলে জানা গেছে।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পদকের দুটি পদে ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী এবং আগ্রহ না থাকলেও প্রচারণা চলেছে প্রায় একডজন নেতার পক্ষে। এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণায় নাম এসেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠামন্ডলীর সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। তাকে সভাপতি হিসেবে দেখার আগ্রহ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পক্ষে তার কিছু তরুণ সমর্থককে প্রচারণা চালায়। তিনি বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের রূপকার। তার নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। জেলা পর্যায়ের আরো একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান নলতা ম্যাটস। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই নেতার পক্ষে কেউ কেউ প্রচারণা চালালেও তাঁর ব্যক্তিগত কোন আগ্রহের কথা শোনা যাইনি।পেশায় রাজনীতিক জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ। আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেছেন। তারপক্ষে কর্মী সমর্থকরা দোয়া ও সমর্থন চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এছাড়া ব্যানার ফেস্টুন ভরে গেছে শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের প্রশাসকও ছিলেন। তিনি গত প্রায় অর্ধ শতক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।প্রচারণা চলছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে। তিনি দলের জেলা সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সাতক্ষীরা-১ আসন (তালা-কলারোয়া) এর সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার হাত দিয়ে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, কপোতাক্ষ খনন প্রকল্পসহ দৃশ্যমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়। সভাপতি পদ হারানোর পূর্বে ও পরে তিনি বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তিনি ক্লিন ইমেজের একজন নেতা। দলের সভাপতি পদ পুনরুদ্ধারে তার পক্ষে চলছে ব্যাপক প্রচারণা।
প্রচারণা চলছে, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে। তিনি সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্নস্থানে ব্যানার ফেস্টুন ভরে গেলেও তারপক্ষের কেউ কেউ মনে করছেন যদি কোন পরিবর্তন আসে সেক্ষেত্রে তিনিই হবেন দলের পরবর্তী সভাপতি। দলের প্রায় সকলস্তরে গ্রহণযোগ্য ক্লিন ইমেজের মো. নজরুল ইসলাম গত ১৫ বছর সুনামের সাথে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। একজন খাটি ভদ্র লোক তিনি। তাকে দলের প্রাণ ভোমরাও মনে করেন অনেকে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনসেবা করছেন। কোন পরিবর্তন না হলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনিই থেকে যাচ্ছেন এটা মনে করেন অধিকাংশ মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রায় অনেকটা জায়গাজুড়ে চলছে দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুর পক্ষে প্রচারণা। এই প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রচারণায় সাতক্ষীরা সদরে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তিনি সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন জেলা যুবলীগেরও সাধারণ সম্পাদক।সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চলেছে, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেতা এবং পঁচাত্তর পরবর্তী জেলায় পুনরায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু করতে সংগঠকের ভূমিকা পালনকারী শেখ সাহিদ উদ্দিনের পক্ষে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক। তিনি চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ক্লিনহার্ট অপারেশনে যৌথবাহিনীর হাতে চরম নির্যাতনের শিকার হন। তিনি একজন ত্যাগি নেতা হিসেবে পরিচিত।একই পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু হয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রর পক্ষে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ কামাল বখত সাকির পুত্র।জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রচারণায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের ডাকসাইটের ছাত্র নেতা আ.হ.ম তারেক উদ্দীন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় রং বে রং এর ফেস্টুন ব্যানারের মাধ্যমে চলেছে তার পক্ষের প্রচারণা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক, ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে শাহাবাগে পিকেটিং করার সময় গ্রেপ্তার হন এবং চরম নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৩ সালেও তিনি আর একদফা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হন।সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচারণার চলছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদের পক্ষে। তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক। সাতক্ষীরার ভূমিহীন আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ৬দফার আন্দোলন, ৬৮-৬৯ এর গণআন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে যশোরের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ৬৯ সালে যশোর সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, ৭৪-৭৫ সালে এক কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি এবং যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন। কারামুক্তির পর ১৯৭৬ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে সাতক্ষীরাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অতীত বিবেচনায় তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে পারেন বলে মনে করেন তার কর্মী সমর্থকরা।এদিকে যাদের নামে প্রচারণা শুরু হয়েছে তাদের অধিকাংশের রয়েছে ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের গৌরবোজ্জ্বল অতীত। তাদের রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। তাদের কারো কারো হাত ধরে জেলার উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতেও রয়েছে ব্যাপক ভূমিকা। রয়েছে ব্যাপক ত্যাগ-তিতীক্ষা। জেল জুলুম নির্যাতন ভোগ করেছেন অনেকে।আবার কেউ চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে অর্থ সম্পদ গড়ে তুলতে তৎপর রয়েছেন। এ ধরণের এক প্রার্থীর একমাত্র অবলম্বন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দা-মন্দ করা। এবারের সম্মেলনকে সামনে রেখে সর্বজন গ্রহণযোগ্য এক নেতার নাম সভাপতি হিসেবে প্রচারে আসার সাথে সাথে উজবুক টাইপের ঐ নেতার সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে নিন্দে-মন্দ শুরু করার চেষ্টা করে। এছাড়া সাতক্ষীরায় আসার পর থেকে গত অর্ধযুগে যাকেই তার প্রতিপক্ষ মনে করেছে তার বিরুদ্ধে গোয়েবেলীয় স্টাইলে প্রাচার-প্রচারণা চালিয়েছেন তার লোকজন। সত্যের সন্ধান করার নামে সত্যকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা রয়েছে তার। যদিও তার হাতে ধরেই সাতক্ষীরার স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিও বাণিজ্য, প্রাইমারী স্কুলের পিয়ন নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অফিস আদালতে কমিশন বাণিজ্য, হাসপাতালের ল্যাব থেকে কমিশন বাণিজ্য, রেজিস্ট্রি অফিস-পাসপোর্ট অফিস-বিআরটিএ-সেটেলমেন্ট অফিসে ভাই ভগ্গর আত্মীয় স্বজনদের কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, ধান-চাল ক্রয়ে কমিশন খাওয়া, বিরোধপূর্ণ জমাজমি দখল, টিআর-কাবিখা লোপাটে পারদর্শীতার অভিযোগ। রয়েছে পায়খানা-প্র¯্রাবের বাথরুম থেকে তোলা তোলার অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে জঙ্গি-জামাতকেও আওয়ামী লীগ বানানোর অভিযোগ। রাজনীতিকে ওয়ান টাইম ব্যবসা হিসেবে নিয়ে আখের গোছাতে ব্যস্ত বলে প্রাচারও রয়েছে। যদিও শেষ মূহুর্তে রণেভঙ্গ দিয়ে একটু প্রমোশনের জন্য চেষ্ঠায় রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।