রফিকুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছায় নিজের প্রচেষ্টায় মিশ্র খামার প্রকল্প ভিত্তিক বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠেছে মেসার্স মৃধা মিশ্র খামার। নাভারণ ইউনিয়নের বায়সা গ্রামে ১৩.৫ একর (৪০বিঘা) জমির উপর তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রহিম মৃধা এই প্রকল্প শুরু করেছেন। ‘মেসার্স মৃধা মিশ্র খামার’ এর ব্যানারে বহুমুখি উৎপাদনশীল হিসেবে গড়ে তুলেছেন সম্ভাবনাময় এই প্রকল্পটি। এখানে দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের গাড়ল (ভেড়া), ৫বিঘা জমিতে ০৩টি পুকুরে মৎস্য চাষ, ১২বিঘা জমিতে উন্নত মানের বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ, ৩ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ, ২ বিঘা জমিতে সীডলেস লেবু চাষ, ২ বিঘা জমিতে লিচু চাষ ও ১ বিঘা জমিতে কলা চাষ করে একটি মিশ্র খামার গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম মৃধা জানিয়েছেন, আমি ও আমার সহধর্মিনী রোজী মৃধার সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে। আমার এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ইতোমধ্যে ৩৫/৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতিনিয়ত আমার এই খামারের মাধ্যমে প্রায় ১০জন অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বর্তমানে খামারে প্রায় ৬০টি উন্নত জাতের গাড়ল বা ভেড়া, মৎস্য ও ফলমূল উৎপাদনে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু করা হয়েছে ১৩.৫ একর (৪০বিঘা) জমির আয়তন জুড়ে। ৫বিঘা জলাভূমি বা পুকুরে জেল মাছ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আমার এই প্রকল্পের আরো পরিধি বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। মৃধা মিশ্র খামারের প্রকল্পের পরিচালক একজন শিক্ষিত, কর্মজীবী, উদ্যমী ও তরুণ উদ্যোক্তা। এই প্রকল্প ঘিরে নিজে স্বাবলম্বি হওয়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নতুন নতুন খামার গড়ে তোলার ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দেশে কৃষি সম্ভাবনাময় হিসাবে গড়ে তুলতে সরকারকে প্রয়োজনে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও সম্ভাব্য আর্থিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করলে নতুন উদ্যোক্তারা চাকরীর নামক সোনার হরিণের পিছে না দৌড়িয়ে কৃষি কাজের উপর নির্ভশীল হতে পারবে বলে মনে করেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম মৃধা। বর্তমানে তার এই প্রকল্পের আওতায় গাড়ল ও সীডলেস লেবুর চারা সংগ্রহ করতে ০১৭২৭-২১৬৫৫২ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ তপনেশ্বর রায় বলেন, মেসার্স মৃধা মিশ্র খামার প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম মৃধা তিনি আমার সাথে মাঝে মধ্যে যোগাযোগ করেন। তাকে গাড়ল চাষের উপর কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তিনি যদি আমাকে জানান তাহলে আমি সেটার বিষয়ে দেখবো। তিনি গাড়লের কোন সমস্যা হলে আমাকে জানালে আমি যথাযথ পরামর্শ প্রদান করে থাকি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দূর্বার ও কৃষিই সমদ্ধি এই স্লোগানকে সামনে রেখে করোনাকালীন সময়ে আমি ও আমার সহযোগী কর্মীরা কৃষি অধিদপ্তরের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছি। আমি তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রহিম মৃধার বিষয়ে শুনেছি। তার যদি কোন প্রকার সরকারি সহযোগিতার দরকার হয় তিনি আমার দপ্তরের যোগাযোগ করলে আমি তাকে চাষাবাদের জন্য সর্বাধিক সহযোগিতা করবো।