March 28, 2025, 9:40 am
কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পোশাক কর্মীদের বেতন-ভাতা দিচ্ছিল কারখানাগুলো। তবে ধীরে ধীরে তাদের নগদ বেতন পরিশোধ পদ্ধতিতে ফিরছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি)। করোনাভাইরাস অতিমারিতে সাময়িকভাবে দুঃস্থ-অসহায় শ্রমিকদের সহায়তা করতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এরপর পোশাক কর্মীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন-ভাতাদি দেয়া শুরু করেন কারখানা মালিকরা।
প্রাণঘাতী করোনা রুখতে গেল ২৯ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি রাখে সরকার। পরে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় চার মাস (এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত) কর্মীদের বেতন দেয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। সবটাই হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এতে নগদ অর্থে বেতন দেয়া সংক্রান্ত খরচের উল্লেখযোগ্য হ্রাস, নিরাপত্তার যে ঝুঁকি থাকতো তা দূর এবং বেতন সংগ্রহের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের যে উৎপাদনের সময় অপচয় হতো সেটা কমে যেতো। তবু ডিজিটাল ছেড়ে নগদ বেতন পরিশোধে ফিরছে পোশাক খাত। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক বড় কারণ।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সাধারণত মালিক পক্ষ ডিজিটাল পদ্ধতি চায় না। কারণ, তাদের দেয়া বেতনের অংক এবং তা দেয়া-নেয়ার প্রমাণ শ্রমিকদের হাতে থেকে যায়। ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও এ পদ্ধতিতে বেতন পরিশোধ না করার চাপ রয়েছে। অবৈধ কিছু লেনদেনে বাধা পড়ায় এ চাপ বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে শ্রম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হলে তাতে স্বচ্ছতা আসে। এতে শ্রমিক পক্ষ ও সরকার –উভয়ই লাভবান হয়।
তবে কিছু বাস্তব কারণেও কোনো শ্রমিক এর বিরোধিতা করেন। কারণ, স্ত্রী কত টাকা বেতন পান তা জেনে যান স্বামী। এতে কোনো টাকা থাকে না তাদের হাতে। সবটাই খরচ হয়ে যায় বলে জানান জাফরুল হাসান শরীফ।
Comments are closed.