October 9, 2024, 4:27 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
তালায় যুব উন্নয়ন অফিসের ঋণে জোছনা বেগম স্বাবলম্বী

তালায় যুব উন্নয়ন অফিসের ঋণে জোছনা বেগম স্বাবলম্বী

তালা প্রতিনিধি : সংসারের দরিদ্রতা দূর করতে তালা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে হাঁস, মুরগি ও গবাদিপশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তালা উপজেলার মুড়াকলিয়া গ্রামের গৃহবধু জোছনা বেগম। এরপর যুব উন্নয়ন অফিস থেকে ঋণ নিয়ে মাত্র ১০০টি পোল্ট্রির বাচ্চা নিয়ে ছোট্ট খামার গড়ে তোলেন তিনি। এরপর একাগ্রতা ও নিষ্ঠতার সাথে ফার্ম পরিচালনা করে সেই দরিদ্র জোছনা বেগম এখন স্বাবলম্বী। তিনি এখন একাধিক পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনা করে দারিদ্রতাকে জয় করেছেন। সংসারের সকল দৈন্যতা দূর করে ফার্ম পরিচালনা করার জন্য দায়িত্বে নিয়েছেন একাধিক ব্যক্তির।তালার মুড়াকলিয়া গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দীন মোড়লের স্ত্রী জোছনা বেগম (৪৫) জানান, ১৯৯২ সালে তার বিয়ে হয়। দরিদ্র স্বামীর ঘরে এসে সংসার চালাতে তাকে হিশশিম খেতে হতো। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালে তালা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে হাঁস, মুরগি ও গবাদি পশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং কিছুদিন পর অফিস থেকে ঋণ নিয়ে মাত্র ১০০ বাচ্চা কিনে একটি ছোট্ট পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। সেই ফার্ম থেকে অল্প লাভবান হবার পর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস তাকে বড় পরিসরে পোল্ট্রি ফার্ম করার জন্য বিধি মোতাবেক পরিমান বাড়িয়ে ঋণ প্রদান করেন। আগের ঋণ শোধ করার পর নতুন করে ঋণ নিয়ে একটু বড় পরিসরেই পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন জোছনা বেগম। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সময়ের ব্যবধানে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের ঋণের পরিমান বাড়তে থাকে আর পোল্ট্রি ফার্ম বড় করতে করতে জোছনা বেগম এখন একাধিক পোল্ট্রি খামারের মালিক। বিভিন্ন প্রজাতীর পোল্ট্রির জন্য তিনি ৪হাজার পোল্ট্রির ধারন ক্ষমতার একাধিক খামার গড়ে তুলেছেন। এখান থেকে প্রতিবছর পোল্ট্রি ফার্ম বাবদ তার সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করছেন। এই মুনাফা দিয়ে তিনি তার সংসারের দারিদ্রতাকে জয় করেছেন। ২টি সন্তানকে লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলেছেন। সংসারে এনেছেন স্বাচ্ছন্দ।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com