July 27, 2024, 3:02 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
‘দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে’

‘দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে’

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, শুধু কয়েক ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না। বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এমন মন্তব্য করেন। সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ শীর্ষক এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু হানিফ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি জাকির হোসেন, জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের আহ্বায়ক খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদের যারা আশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সে জন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাঁবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি। সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে দশ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এরমধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চাই।

মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, যেভাবে চুরি ডাকাতির মহোৎসব চলছে তাতে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। রিজার্ভ নেই। ডলার সংকট। এখান থেকে বাঁচতে হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। আজিজ-বেনজীরের শাস্তি হওয়া সময়ের দাবি। আমরা অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তার আগে বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিতে হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com