July 27, 2024, 6:45 am
দেবহাটার পারুলিয়াতে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বসত বাড়ির পথ বন্ধ করে নতুন করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মহব্বত আলীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম পারুলিয়ার আদর আলী মোল্যার ছেলে ও স্যাটেলাইট ক্যাবল ব্যবসায়ী।
এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে প্রতিবেশী মহব্বত আলীর বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে নিয়ে শালিসে বসার আগ পর্যন্ত ওই বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
শহিদুল ইসলাম জানান, ১৯৯৯ সালে মৃত বেলায়েত আলীর কাছ থেকে ১২ শতক জমি কিনে সেখানে বাড়ি নির্মাণসহ পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে জাকির হোসেন, আফছার আলী, মুর্শিদ ও জোহরা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন আরোও ৯ শতক জমি। বর্তমানে তার ভিটাবাড়িসহ আশপাশে মোট জমির পরিমান ২১ শতক হলেও ক্রয়কৃত পুরো জমির দখল এখনও বুঝে পাননি তিনি।
এরইমধ্যে দুপাশে তার জমির মাঝখানে কয়েক শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করে মান্দার মোল্যার ছেলে মহব্বত আলী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের উভয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে শহিদুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের শরণাপন্ন হলে তিনি উভয়পক্ষকে নিয়ে শালিসে বসার সিদ্ধান্ত দেন। এরইমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম করোনাক্রান্ত হয়ে পড়লে শালিস প্রক্রিয়াও স্থগিত হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি মহব্বত আলী হিংসাত্মকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানের শালিস প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে শহিদুল ইসলামের বাড়ির পথ বন্ধ করে কংক্রিটের স্থাপনা গড়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করে।
একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী শহিদুলের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে মহব্বতের পরিবারকে নির্দেশ দেয়।
এব্যপারে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলামের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং দুপক্ষের মধ্যে মারপিটের সম্ভাবনা থাকায় প্রতিপক্ষ মহব্বত আলীকে বাড়ি নির্মাণের কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মিমাংসার স্বার্থে উভয় পক্ষকে তাদের স্বপক্ষে মালিকানার যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আগামী শনিবার থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।
Comments are closed.