July 27, 2024, 4:23 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
দেবহাটায় নির্বাচন কালীন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ!….

দেবহাটায় নির্বাচন কালীন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ!….

Roficull iSlam: দেবহাটায় নির্বাচন কালীন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচন কালীন আনসার ভিডিপির সদস্য হতে হলে ৫০০ থেকে ৭০০টাকা দিয়ে নাম লেখাতে হয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি। ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছোট একটি উপজেলা দেবহাটা। এখানে দীর্ঘ দিন আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার পদটি শূন্য। অফিসের দায়িত্ব পালন করে আসছে নার্গিস সুলতানা নামের একজন প্রশিক্ষিকা। আর কাউকে দেখা যায় না এখানে। ৫টি ইউনিয়নে আছে ৫জন ইউনিয়ন কমান্ডার। ইউনিয়ন কমান্ডারদের অধিনে আছে কিছু পিসি সদস্য। নির্বাচন আসলেই এই ইউনিয়ন কমান্ডার এবং পিসি সদস্যরা যেন আলাউদ্দীনের চেরাক হাতে পায়। আনসার ভিডিপির সদস্য নেওয়ার নামে শুরু হয় টাকা তোলার খেলা। তবে টাকা তোলার সময় ৫০০ থেকে ৭০০ বা তার অধিক টাকা নিলেও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় টাকার বিষয়ে কোন স্বীকারোক্তী না দেওয়ার। আরএসব টাকা নিয়োগের আগেই জমা দিয়েই তালিকায় স্থান পেতে হয়। তাই তো সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে গেলেও তথ্য পাওয়া অত্যান্ত কষ্টসাধ্য হয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকে তথ্য দিলেও ভাতার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কিছু না করার শর্ত আরোপ করে। সাম্প্রতি দেবহাটা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনেও ক্ষমা পায়নি নির্বাচনে নিয়োগপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপির সদস্যরা। এদের অধিকাংশের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা হারে। এমন অফিযোগ উঠেছে উপজেলার আনছার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে। এছাড়া উক্ত দূর্নীতির সঙ্গে ইউনিয়ন দলনেতা ও কিছু আনসার-ভিডিপির সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘুষ দিলে নিয়োগ পাবে, আর না দিলে বা এই বিষয়ে মুখ খুললে সে বাতিল হবে এসব হুমকিতে চলে ঘুষ বানিজ্য। তাই তো ঘুষ না দেওয়ায় পূর্বের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী অনেক সদস্য এবার বাদ পড়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪০টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৯৭ হাজার ৮শ ৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২শ ১৫ জন পুরুষ এবং ৪৮ হাজার ৬শ ২১ জন মহিলা। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন করে পুলিশ এবং একজন পিসি, একজন এপিসি, ছয়জন পুরুষ, চারজন নারীসহ ১২ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলা আনছার ভিডিপির অফিসে পিসিদের ৩৪৬০ টাকা এবং সদস্যদের ৩১৬০ টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার পরে অধিকাংশ আনছার ও ভিডিপির সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ডিউটি নেওয়ার আগে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উপজেলা আনছার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক নার্গিস বেগম। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের এলাকার দলনেতার কাছে উক্ত টাকা জমা দিতে হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দায়িত্বরত কয়েকজন আনসার সদস্য সত্যতা স্বীকার করে বলেন, টাকা না দিলে ভোটের ডিউটি করতে দিবে না এই ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তাদের এই টাকা প্রত্যেক দলনেতাদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে বলে জানান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউনিয়ন আনসার দলনেতা জানান, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে দায়ত্বিপালনের জন্য আনসার সদস্যের নিকট পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছি। দরিদ্র্র সদস্যদের কাছ থেকে পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা করে আদায় করতে খুব কষ্ট লাগে। তারপরও অফিসারদের মন রক্ষা করার জন্য এসব টাকা উত্তোলন করতে হয়।এবিষয়ে উপজেলা আনছার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক নার্গিস বেগম অর্থ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আর আপনারা এমন করছেন কেন, আমি তো সবাইকে দেখি। আমার নাম ব্যবহার করে যদি কেউ অর্থ আদায় করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com