July 26, 2024, 11:48 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
দেবহাটায় ফারইষ্ট ও পদ্মা’য় বীমা করে প্রতারনার শিকার বহু পরিবার

দেবহাটায় ফারইষ্ট ও পদ্মা’য় বীমা করে প্রতারনার শিকার বহু পরিবার

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটার কুলিয়াতে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ও পদ্মা
ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে জীবন বীমা খুলে প্রতারিত হয়েছেন বহু
পরিবার। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুলিয়া বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জোহর আলীর
ছেলে বাছতুল্যাহ ওরফে বাশার আলীর (৫৫) মাধ্যমে ওই দুটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে
জীবন বীমা খুলে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন তারা। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের
আব্দুল করিম মোল্যার ছেলে জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৬ সালে প্রতিমাসে ১
হাজার টাকা করে সঞ্চয়ের জন্য বাশার আলীর মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদী একটি জীবন
বীমা করেন তিনি। সেখান থেকে প্রায় ৩ বছর ধরে বাশারের মাধ্যমে প্রায় ৩০
হাজার টাকা বীমায় জমা দেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১ হাজার টাকা জমার একটি
রিসিট পেয়েছেন তিনি। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের মুল দলিলে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ছবি
লাগিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছে বাশার আলী। একই গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার
ছেলে এজাহার আলী মোল্যা বলেন, ২০০৭ সালে বাশার আলীর মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী
লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে বার্ষিক ২৪৭৫ টাকা করে সঞ্চয়ের জন্য ১০ বছর মেয়াদী
একটি জীবন বীমা শুরু করেন তিনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত নিয়মিত টাকাও জমা দেন
তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে তার টাকা জমার রিসিট না দিয়ে হয়রানী এবং টাকা
জমা নেয়া বন্ধ করে দেন বাশার আলী। বালিয়াডাঙ্গার জাকির হোসেনের স্ত্রী সালমা
খাতুন বলেন, ২০১৬ সালে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে সঞ্চয়ের জন্য বাশারের
মাধ্যমে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে ১০ বছর মেয়াদী একটি জীবন বীমা
খোলেন তিনি। সেসময় থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত নিয়মিত টাকা জমা দিয়েছেন
তিনি। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত টাকা জমার রিসিট দিলেও পরবর্তী ১১
মাসের রিসিট এখনো তাকে না দিয়ে হয়রানী করছে বাশার আলী। একই গ্রামের
আব্দুল হামিদের ছেলে মজিবর রহমান ও মৃত জলিল মোল্যার ছেলে শাহিনুর ইসলাম
বলেন, মজিবর রহমান ২০১১ সালে এবং শাহিনুর ২০০৯ সালে মাসিক ২১০ টাকা
হারে সঞ্চয়ের জন্য বাশারের মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ১০
বছর মেয়াদী পৃথক দুটি জীবন বীমা শুরু করেন। এদের মধ্যে ২০ মাসের টাকা জমা
দিয়ে ১৭ মাসের রিসিট পান মজিবর। আর ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায়
চার বছর টাকা জমা দিয়েও পরে তরী ডুবেছে দুজনেরই। তারা বলেন, ওই সময়ের পর
থেকে তারা টাকা জমা দিতে চাইলেও টাকা জমা নেননি বাশার আলী। বরং তাদের
জমাকৃত কষ্টের টাকা দান করে দেয়া হয়েছে বলে তাদেরকে জানিয়ে দেয় বাশার
আলী। বর্তমানে বাশার আলীর মাধ্যমে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ও পদ্মা ইসলামী
লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে জীবন বীমায় সঞ্চয় করে পথে


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com