October 23, 2024, 7:07 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক রোকনুজ্জামানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সেবা গ্রহিতারা। কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে রোকনুজ্জামান তার নিজ ইউনিয়নের ভূমি অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছে। ফলে সাধারণ সেবা গ্রহিতাদের যে কোন ধরনের কাজে অর্থিক সুবিধা গ্রহণ এবং আর্তিক সুবিধা না পেলে হয়রাণী করেন বলে স্থানীয়রা জানান। রোববার (১৯ অক্টোবর) দেবহাটা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক রোকনুজ্জামান জাল দলিলের বুনিয়াদে শ্রীপুর মৌজায় আনারুল ইসলামের একটি নামজারি সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রোকনুজ্জামান মোটা আংকের অর্থের বিনিময়ে জাল নামজারি, জাল খাজনা রশিদ প্রদানসহ দালালদের সাথে আতাঁত করে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানী করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, এরআগে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অবস্থায় অফিসের সরকারি চালান জাল করার অভিযোগে তৎকালীন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ মোচলেকা নিয়ে সাধারণ ক্ষমা করেন। এরপর দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অবস্থায় ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে নাম পত্তনের পর্চা সরবরাহের অভিযোগে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কালাচাঁদ সিংহ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বরখাস্ত থাকাকালীন দেবহাটা ম্যানগ্রোভ এ অস্থায়ীভাবে কর্মররত থাকাবস্থায় নানান অসমাজিক কার্যকলাপের কারণে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ তাকে সরিয়ে দেন।
সিমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি করার পরেও রোকনুজ্জামান তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় পরবর্তীতে বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে পুনরায় চাকরি ফিরে পায়। তারপরেও থেমে নেই তার অনিয়ম দুর্নীতি। বর্তমানে তার নিজ ইউনিয়নে কর্মরত রয়েছে। এব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলি। আমার কিছু হবে না।
Comments are closed.