July 26, 2024, 11:39 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
দ্বিতীয় বিয়ের সময়ও নিজেকে কুমারী পরিচয় দেন মিন্নি

দ্বিতীয় বিয়ের সময়ও নিজেকে কুমারী পরিচয় দেন মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মালার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নি দ্বিতীয় বিয়ের সময়ও নিজেকে কুমারী পরিচয় দেন।  নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নির প্রথম বিয়ের সকল তথ্য উপাত্ত প্রকাশ হওয়ার পর, এখনও মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছে মিন্নির পরিবার।শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি ও রিফাত শরীফের বিয়ের বিষয়ে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, ‘আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে আমার ছেলে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। কিন্তু মিন্নি ও রিফাতের যখন বিয়ে হয় তখনও নয়ন বন্ডের বৈধ স্ত্রী ছিল মিন্নি। প্রথম বিয়ের কথা আমাদের জানায়নি মিন্নি ও তার পরিবার।’বরগুনার কেন্দ্রীয় কাজী অফিসের কাজী আবদুর রহিমের ছেলে মো. শহিদ বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল প্রায় দুই শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে বরগুনার আলীয়া মাদ্রাসা মসজিদে মিন্নি ও রিফাতের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের বিয়ে পড়ান আলীয়া মাদরাসা মসজিদের ইমাম ক্বারী সোলায়মান। ছয় লাখ টাকা দেনমোহরের এই বিয়েতে কন্যাদান করেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তিনি আরও বলেন, বিয়ের কাবীন নামায় মিন্নিকে কুমারী হিসেবে দেখানো হয়েছে।’এক প্রশ্নের জবাবে শহিদ বলেন, ‘প্রথম বিয়ের পর যদি কোনো নারীর ডিভোর্স হয়, কিংবা স্বামী মারা যায়, ওই নারীর দ্বিতীয় বিয়ের সময় কাবিন নামায় তাকে তালাকপ্রাপ্ত কিংবা বিধবা হিসেবে উল্লেখ করতে হয়। মিন্নির কোনো স্বজনই মিন্নির যে আগে বিয়ে হয়েছিল- এটা না বলায় কাবিননামায় মিন্নিকে কুমারী হিসেবে দেখানো হয়েছে।’এ বিষয়ে শনিবার রাত দশটার দিকে মিন্নির সাথে কথা বলতে চাইলে মিন্নির অসুস্থতার কথা জানিয়ে  কথা বলেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের একটাই বিয়ে হয়েছে। এবং সেই বিয়ে হয়েছে রিফাত শরীফের সাথে। ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে গত ২৬ এপ্রিল বরগুনার আলীয়া মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদে আমার মেয়ে মিন্নির বিয়ে হয়। আমার মেয়ের আর কোনো বিয়ে হয়নি।’তিনি আরও বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে নয়ন বন্ড আমার মেয়েকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। সেই কাগজ দিয়ে নয়ন কী করেছে সে বিষয়ে আমরা অবগত নয়।’অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন কিনা-  এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নির বাবা বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমার মেয়ে ভয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকা নিয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া এ ঘটনা জানালে আমার ছেলেকে হত্যা করা হবে- নয়ন বন্ডের এমন হুমকির কারণে মিন্নি আমাদের এ ঘটনা পরে জানায়। এ কারণে আমরা আইনি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি।’নয়ন বন্ডকে মিন্নি কিংবা মিন্নিকে নয়ন বন্ড ডিভোর্স দিয়েছিল কিনা  এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নির বাবা কিশোর বলেন, ‘আমার মেয়েরতো নয়ন বন্ডের সাথে বিয়েই হয়নি। তাই ডিভোর্সের কোনো প্রশ্নই আসে না।’


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com