July 27, 2024, 3:03 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
ধারাবাহিক সাফল্যে এগিয়ে চলেছে পুস্পকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ধারাবাহিক সাফল্যে এগিয়ে চলেছে পুস্পকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষার গুণগত মান ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে পুস্পকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুধু প্রচলিত নিয়মে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজেদের আটকে রাখেননি। বরং সৃজনশীলতা দিয়ে পরিচিত করে তুলেছেনে বিদ্যালয়টিকে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক তনিমা পাররভীন’র নানা উদ্ভাবনী কাজের ছক এবং তা বাস্তবায়নে সহকর্মীদের দলবদ্ধ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুস্পকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৮৬। শিক্ষকের পদ আছে ৮টি। বিদ্যালয়টিতে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। এ বিদ্যালয়ের অবস্থান দেবহাটা উপজেলায়। বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বলেন, ‘স্কুলটা উপজেলার মধ্যে ভালো। প্রধান শিক্ষক স্কুলের জন্য খুব খাটেন। সব স্যার খুব দায়িত্বশীল। তাঁরা শুধু স্কুলেই পড়ান না। বাড়িঘরে গিয়েও খোঁজ নেন।’ তবে এই সাফল্যের পথটা অত মসৃণ নয়। এই বিদ্যালয়ে সমস্যার কমতি নেই। বিভিন্ন সময়ে খবরদারি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করতে না পেরে পুষ্পকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ভাবমুর্র্তি ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল নানান ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন টাকা আত্মসাৎ করতে সব সময় মরিয়া হয়ে আছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মাদ গাজী। কিন্তু তিনি বিদ্যালয় থেকে কোন প্রকার আর্থিক সুবিধা না নিতে পেরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে চলেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নিয়মিত মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে এগিয়ে চলেরছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্র্যক্রম। ২০১৭ সালে সমাপনী পরীক্ষায় ৮ জন এ প্লাসসহ ২জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে। ২০১৮ সালে সমাপনী পরীক্ষায় ১২ জন এ প্লাসসহ ২জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে। এছাড়া খেলাধুলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়ও এ বিদ্যালয়ের সাফল্য রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তনিমা পারভীন বলেন, ‘ক্লাশের পাঠদান পদ্ধতি পরিবর্তন, শিক্ষকদের পরিশ্রম, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাস ব্যবস্থা, অভিভাবক সমাবেশের কারণে স্কুলটি ভালো ফলাফল করেছে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com