July 27, 2024, 3:19 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
ধুলিহরে রাস্তা নির্মাণের শুরুতেই অনিয়ম!

ধুলিহরে রাস্তা নির্মাণের শুরুতেই অনিয়ম!

নিজস্ব প্রতিনিধি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমায়ের দেশ হিসাবে রূপান্তরিত করার লক্ষে দেশের সব জায়গায় শহর থেকে গ্রাম গঞ্জের অলি-গলিতে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কাজ করেই যাচ্ছে। কিন্তু বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দূর্ণিতির কারণে সরকারের সেই ভাবমূর্তি ক্ষূর্ণ করেই চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৮নং ধুলিহর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের কোমরপুর এলাকার সড়কে পিচের কার্পেটিং রাস্তা নিন্ম মানের কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদাররা। সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে ঠিকাদাররা নিজের ইচ্ছামত সড়কের নির্মাণ কাজ করেই চলেছে। এবিষয়ে উদ্ধতন কর্মকর্তা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। কোমরপুর এলাকার আবুল কাশেম গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন (২৭) ঠিকাদারের নিজের ইচ্ছামত সড়কের নির্মাণ কাজ এর প্রতিবাদ করার এক পর্যায়ে দুই জন তর্কাতর্কিতে জড়ান। পরে ওই যুবক ধুলিহর বাজারে আসলে চেয়ারম্যান চোকিদার দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে তুলে নিয়ে হুমকিÑধামকি দিয়ে বলেন, তোর মারতে আমার সময় লাগবে না, তুই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা চাইছিস। এদিকে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর ক্লাব মোড় থেকে পারুইপাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এর শুরুতেই সিডিউল অনুযায়ী না করে ঠিকাদারদের নিজের খামখেয়ালীমত নির্মাণ করেই চলেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কোমরপুর ক্লাব মোড় থেকে পারুইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭৮ লক্ষ টাকার পিচের কার্পেটিং নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্ধ হয়। কিন্তু ঠিকাদার শুরুতেই তড়িঘড়ি করে বালু দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা যদি দুই তিন নং খোয়া দিয়ে ফিনিশিং না করে পিচের কার্পেটিং শুরু করে তাহলে খুব বেশি দিন রাস্তাটি টিকবে না। এবিষয়ে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মুজিবর বলেন অফিস যে ভাবে বলছে আমরা সেই ভাবে কাজ করছি। ২,৩ নং খোয়া দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, খোয়াটা হলো সরকারী খোয়া এই কারণে আমাদেরও নিন্ম মানের মনে হয়। আগে ওখানে ইটের সলিং ছিল। ওই সলিং এর ইট চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমদের কাছে ১০ টাকা ৬৪ পয়সায় বিক্রি করেছে। আমরা এই নিয়ে আর যুদ্ধ করে পারছি না। এবিষয়ে ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা যে অভিযোগ এনেছে এটি সত্য নয়। কোমরপুর এলাকার আলতাব হোসেন ঠিকাদারের সড়কের নির্মাণ কাজ বাধা দিলে আমি চোকিদার দিয়ে তাকে ডেকে মিমাংশা করে দিয়েছি। পরবর্তীতে সরকারী ইট বিক্রয় করার বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানের মুঠো ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এবিষয়ে স্থানীয়দের ধারণা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com