March 18, 2025, 12:45 am
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কালিগঞ্জে উদযাপন করা হলো পাক হানাদাার মুক্ত দিবস। ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গনে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলণ করা হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড কালিগঞ্জ ইউনিট এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী পার্কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক রাসেল।মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কালিগঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এসএম গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুর রহমান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, দিপালী রাণী ঘোষ, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, সহকারী কমান্ডার শেখ মনির আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সম্মৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা এসএম মমতাজ হোসেন। পরবর্তীতে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯টায় বিজয় স্তম্ভে ও সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, ১০টায় সরকারি কবরস্থানে শহীদ মু্িক্তযোদ্ধা ইউনুস মৃধা ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের কবর জিয়ারত করা হয়। কবর জিয়ারতকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক রাসেল, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আজিজুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিমসহ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ভোর ৫ টায় কালিগঞ্জ ওয়াপদা কলোনীতে পাক বাহিনীর সর্বশেষ ঘাটিতে বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। মাত্র দু’ঘন্টার যুদ্ধে পাক বাহিনী পিছু হটে। অনেক পাক সেনা মৃত্যুবরণ করে। মু্িক্তযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয় ৪০ পাকসেনা। এর মধ্য দিয়ে পাক হানাদার মুক্ত হয় কালিগঞ্জ উপজেলা। বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় মুক্তাঞ্চল ছিল কালিগঞ্জ। এর আগে ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়।
Comments are closed.