October 18, 2024, 6:31 am
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ। সেই সাথে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতি। তবে ফাইজার বা মডার্নার টিকা বাজারে এলেও নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এই টিকা পৌঁছবে কিনা তা নিয়েও আছে শঙ্কা। তাই এসব দেশগুলোর একমাত্র ভরসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা। কয়েকদিনের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়ালের চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। এই ধাপ শেষ হলে ঘোষণা মতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই টিকা উৎপাদনের ৪০ শতাংশই যাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির মানুষের জন্য। এ খবর অনেকটা আশা আলো জাগিয়েছে দেশগুলোর মধ্যে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একাধিক দেশে এই টিকা উৎপাদিত হবে। ফাইজারের টিকার থেকে এর খরচ অনেকটাই কম হবে। অন্য টিকাগুলি যেমন অনেক নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, এ ক্ষেত্রে সেই পরিকাঠামো প্রয়োজন হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এই টিকা সরবরাহ করা হবে। অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিটি টিকার খরচ ধরা হয়েছে ৪-৫ ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মূল্যে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকার মতো।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়ে দিয়েছে, এই টিকার দিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। মহামারীর এই সময়ে তারা লাভের দিকে চিন্তা করবে না। কিন্তু তারপরেও উৎপাদক সংস্থাগুলি টিকার দাম বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। পরীক্ষার সব ঠিকঠাক থাকলে পৃথিবীর কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সবচেয়ে সহজলভ্য হতে পারে। বিশ্বে যত টিকার প্রয়োজন তার এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ প্রায় ৩২০ কোটি ব্রিটেনের এই সংস্থাটির কাছ থেকে আসতে পারে। তবে এখন অপেক্ষা পরীক্ষার ফলাফলের।
Comments are closed.