July 27, 2024, 4:13 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে মানবাধিকার কমিশন যা বলছে

নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে মানবাধিকার কমিশন যা বলছে

ডেস্ক নিউজ: ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ জন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম।বৃহস্পতিবার এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দেন মানবা

ধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: ‘যৌন নিপীড়কের জন্য আতঙ্কের নাম মৃত্যুঞ্জয়ী নুসরাত। নুসরাতের প্রত্যায় ছিল, সে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়বে এবং অভিযুক্তদের এমন শাস্তি দেবে যা দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে।আজকে অভিযুক্ত সকল আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ নুসরাতের সেই প্রত্যয়েরই বিজয়। এই রায় নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমি আশা করি এই রায় দ্রুত কার্যকর হবে।’বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুুর রশিদ বেলা সোয়া ১১টার দিকে হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ জন আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।মৃত্যৃদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলো: সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নুসরাতের পরিবার দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে। রায়ের পর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি করেছে পরিবার। সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিরা যে অপরাধ করেছে তার জন্য মৃত্যুদণ্ডই তাদের সবার প্রাপ্য। এছাড়া এই হত্যার ঘটনার পেছনের বিভিন্ন তথ্য বের করে আনার জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান বিচারক নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা। সেই ঘটনায় ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষকে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষের লোকজন পরীক্ষার হল থেকে ডেকে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com