রিচালনা করার। কিন্তু সরকারের অধিকাংশ শর্তভঙ্গ করে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পায়তারা চালাচ্ছেন আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে।সুত্র জানায়, প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের শর্তাবলীর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে মৌলিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও নিবন্ধিত গ্রাম ডাক্তারদেরকেই রিফ্রেসার প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। নতুনভাবে গ্রাম ডাক্তার তৈরী করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে না। অথচ আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি রিফ্রেসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করার জন্য লিফলেট ছড়িয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসির কর্মচারি, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারি, ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, উপজেলা এবং জেলার বাইরের ব্যক্তীদের নিয়ে কোর্স পরিচালনা করছে। এছাড়া বিএমডিসি ২০ডিসেম্বর ২০১০ তারিখের আইন অনুযায়ি এমবিবিএস এবং বিডিএস ডাক্তার ছাড়া কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারিবেন না। অথচ আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কদমতলা বাজারের মিজানুর রহমান (ডবলু) গত ৪ জুন ২০১৯ তারিখের হাফিজা নামের একজন রোগীর ব্যবস্থাপত্র সহ বিভিন্ন রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নিজ নামের পূর্বে ডা. লিখা হয়েছে যা আইনের পরিপন্থী।কোর্সের অন্যতম শর্ত ছিলো প্রশিক্ষণের স্থান, সময় সূচি পরিচালক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্চা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং প্রশিক্ষণ শুরুর পূর্বেই প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণের বাজেট বিভাজন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইচ্ছুক গ্রাম ডাক্তারদের তালিকা সিভিল সার্জন কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমাপূর্বক অনুুমতি স্বাপেক্ষে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। কিন্তু শর্তও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।বাজেট বিভাজনের বাইরে কোন আর্থিক অনিয়ম সংঘঠিত হলে এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষক আয়োজন সংস্থার উপর বর্তাবে। কিন্তু বাজেট বিভাজনের বাইরে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে প্রার্থী ভেদে ৫ হাজার ৫শ’ থেকে ৮ হাজার ১শ’ টাকা পর্যন্ত গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। শর্তের আলোকে যাতে ভূয়া গ্রাম ডাক্তার, সুযোগ সন্ধানী কেউ প্রশিক্ষণ না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক প্রকৃত গ্রাম ডাক্তারদের সনাক্ত করে তালিকা তৈরি করবেন। তালিকাটি সিভিল সার্জন কর্তৃক অনুমোদন করবেন। যাদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদে স্ব স্ব উপজেলার ইউএইচ এন্ড এফপিও এবং সিভিল সার্জন স্বাক্ষর করবেন। অথচ আরএমপি আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি রিফ্রেসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষনার্থীদের তালিকায় দেখা যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাইরে অনেক প্রশিক্ষনার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য, শ্যামনগর উপজেলার লহ্মীখালী গ্রামের আল মামুন, দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শেখ কামাল হোসেন, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি এলাকার মাছুম বিল্লাহ, আশাশুনি উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের কৃষ্ণপদ মন্ডল, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার নাছরিন ফেরদৌসী, কুমিল্লা জেলার মোল্লাবাজার এলাকার এ কে এম মনিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার কালিমাখালী গ্রামের ব্রজেন মন্ডল, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের শেখ আবু সাঈদ, কলারোয়া উপজেলার বড়ালি গ্রামের সাইফুল হক, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রহমত আলী শেখ, দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামের কবির হোসেন, খুলনার কয়রা উপজেলার মিজানুর রহমান কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল গ্রামের হাফিজুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলার যাবদপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, যাদের তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তালিকা থেকে প্রাপ্ত হয়েছে।সূত্র আরো জানায়, প্রশিক্ষণগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই সাতক্ষীরার কলেজ গেট, পুরাতন সাতক্ষীরা, আলীপুর বাজার, সহ বিভিন্ন এলাকার ঔষুধের ফার্মেসির কর্মচারী। শহরের ফারজানা ক্লিনিক, হার্ট ফাউন্ডেশণসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারি, টীম ফার্মাসিটিক্যালসহ বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি। এদের মধ্যে অনেকই আবার মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি পশুর চিকিৎসাও করেন।এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের সাথে সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে যদি বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রশিক্ষণের শর্ত ও নির্দেশনাবলি লঙ্গণ করে তবে ৭দিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃক এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না বলে জানা গেছে।এবিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। তাই এ বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। বেশি কিছু জানার থাকলে অফিসে এসে আমার সাথে বসতে হবে। কিছু জানার দরকার হলে আমাদের সদর অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।