October 22, 2024, 2:01 pm
পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। তবে এক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হয়েছে দু’টি শর্ত। সেগুলো হচ্ছে-পিয়াজ আমদানি করা যাবে প্রতি জাতের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টন এবং জাহাজীকরণ হবে কেবল ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। বেঙ্গালুরু রোজ ও কৃষ্ণপুরাম-এই দুই জাতের পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক আদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে এই আদেশ জারি করা হয়। এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর এই প্রথম দুই জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন করল।
এমন শর্তের কারণে এই কায়দায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ ভা’রত থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের পেঁয়াজ আমদানি হয় মূলত স্থলবন্দর দিয়ে; সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভা’রত থেকে এ দেশে পেঁয়াজ আম’দানির রেকর্ড নেই।
অন্যদিকে ভা’রতের সেই পেঁয়াজ এলে বিকল্প দেশ থেকে পিয়াজ আনা নিয়েও শ’ঙ্কা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন আম’দানিকারকরা। এ বিষয়ে পিয়াজ আমদানিকারক ওকেএম ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিয়র রহমান জানান, আমি মিয়ানমা’র থেকে পেঁয়াজ এনেছি; পা’কিস্তান থেকেও আসার পথে রয়েছে। ভা’রতের এই খবরে আমি আম’দানি অনুমতি নিলেও এখন আর ঋণপত্র খুলব না। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভা’রতের প্রথম পদক্ষেপ।
কিন্তু এর ফলে দুই জাতের পেঁয়াজ রপ্তানির খবর বাংলাদেশের আমদানিকারকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে নিশ্চিত। তাই সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মত দেন তিনি। অসিয়র রহমান বলেন, কত দিন পর্যন্ত ভা’রত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে তার একটি ঘোষণা দেওয়া। তাহলে আমদানিকারকরা নিশ্চিন্তে তত দিন পর্যন্ত অন্য দেশ থেকে পিয়াজ আনবেন।
Comments are closed.