October 4, 2024, 12:05 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিলো ভারত, অস্থীর দেশীয় বাজার

পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিলো ভারত, অস্থীর দেশীয় বাজার

চলতি মৌসুমে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভারত এবার পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিল।রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর ) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। শান্তিনগর, কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে কেজি প্রতি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দিল্লি, মুম্বাই, লাক্ষনৌতে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কলকাতাতেও ৬৫ থেকে ৭ট টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে পোর্ট ব্লেয়ারে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে েপেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কম দামে সরকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছেন। আর পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁয়াজের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে রোববার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে।সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মত। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশিরভাগটা ভারত থেকেই হয়।ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। আর ওই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক কর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।দেশের চাহিদা পূরণে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার,মিশর ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা এল। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া তা দেশের বাজারে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com