প্রতিবন্ধী কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আনছারআলী (২৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা জজ) হোসনে আরা আক্তার ওই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী কালিগঞ্জের চাচাই গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিগঞ্জের চাচাই গ্রামের দরিদ্র পরিবারের দুই মেয়ে ও এক ছেলে বাক প্রতিবন্ধী। ঐ দরিদ্রের স্ত্রী আসামীর বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করত। কিন্তু ২০১৩ সালের ৪ মে সকাল ৮ টায় মায়ের পরিবর্তে বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে (১৬) আসামীর বাড়িতে যায় কাজ করতে। এ সময় মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণীতে পড়–য়া আসামী আনছার আলী তার ঘর ঝাড়– দেয়ার নাম করে মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা আটকিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধী মেয়ে বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানালে একপর্যয়ে আসামী রোজিনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এরই মধ্যে অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে রোজিনা এবং একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। কিন্ত শেষ পর্যন্ত বিয়েতে আসামী রাজি না হওয়ায় রোজিনার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে।উক্ত মামলায় আদালত ৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে নথিপত্র পর্যালোচনা করে উপরোল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী পলাতক ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার বাবু এবং তাকে সহযোগিতা করেন, এপিপি নাদিরা পারভীন।