July 27, 2024, 12:52 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
প্রথমবারের মত সুপার ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনাল

প্রথমবারের মত সুপার ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনাল

খেলার খবর: লর্ডসের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড স্কোর ৫০ ওভারে ২৪১ রানে অলআউট হয়।৬ বলে ১৫ রান দরকার ইংল্যান্ডেরবিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের চাই ১৫ রান। লকি ফার্গুসনের শেষ দুই ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। ৪৯তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটও বিদায় নেন জিমি নিশামের বলে। একই ওভারে বোল্ড হন জোফরা আর্চারবাটলারের পর ওকসের বিদায়\জস বাটলারকে ফেরানোর পরের ওভারে লকি ফার্গুসন তুলে নেন ক্রিস ওকসের উইকেট। মাত্র ২ রান করে ওকস ক্যাচ দেন টম ল্যাথামকে।দুরন্ত বাটলারকে ফেরালো কিউইরাকিউই পেসারদের তোপে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়েন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। পঞ্চম উইকেটে একশ ছাড়ানো জুটি গড়ে তারা এগিয়ে নিচ্ছেন দলের রান। তাতে লাইনচ্যুত ইংল্যান্ড ফিরেছে সঠিক পথে। দুজনই পান হাফসেঞ্চুরির দেখা। বাটলার ৫৩ বলে, আর স্টোকস ৮১ বলে ফিফটির ঘরে পৌঁছান। তবে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে ফিরে গেছেন বাটলার। লকি ফার্গুসনের বলে বদলি ফিল্ডার টিম সাউদিকে তিনি ক্যাচ দেন ৫৯ রান করে।দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন মরগানআরও বিপদে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক এউইন মরগানও ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে। জিমি নিশামের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছেন লকি ফাগুর্সন।ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ মরগান। নিশামের লেন্থ ওয়াইড ডেলিভারি ইংলিশ অধিনায়ক অনেকটা লাফিয়ে শট খেলেছিলেন। কিন্তু ভাসতে থাকা বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ফাগুর্সন। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে মরগান করেন ৯ রান।বেয়ারস্টো বোল্ড‘দ্বিতীয় জীবন’ নিয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না জনি বেয়ারস্টো। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ইংলিশ ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৩৬ রান।ব্যক্তিগত ১৮ রানে বেয়ারস্টোর বেঁচে গিয়েছিলেন। তার ব্যাট ছুঁয়ে আসা রিটার্ন ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। সেই সুযোগটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ফার্গুসনের বল তার ব্যাটে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে ৭১ রানে ইংল্যান্ড হারায় তৃতীয় উইকেট।রুটকে ফেরালেন ডি গ্র্যান্ডহোমকিউই পেসারদের চমৎকার বোলিংয়ে মোটেও সুবিধা করতে পারছিলেন না জো রুট। ফাইনালের চাপ সম্ভবত নিতে পারছিলেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে মাত্র ৭ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।জেসন রয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে শুরু থেকেই ভুগছিলেন রুট। যা কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তিনি। গ্র্যান্ডহোমের করা বাইরের বল তার ব্যাটে লেগে আশ্রয় নেয় উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ইংলিশরা ৫৯ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট।জেসন রয়ের বিদায়বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের দারুণ শুরুর ভিত গড়ে দিয়েছেন তিনি প্রায় সব ম্যাচেই। ফাইনালেও জেসন রয়ের ব্যাটে ছিল উজ্জ্বল সম্ভাবনা। যদিও তাকে বেশিদূর যেতে দেননি ম্যাট হেনরি। এই পেসারের বলে ১৭ রান করে ‍প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রয়।শুরুতে বেশ ভুগলেও একটু সময় নিয়ে মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাট হেনরির আউট সুইং বলটি ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি রয়। বল তার ব্যাট স্পর্শ করে ‍জমা পড়ে উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ২০ বলের ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৩ বাউন্ডারি।বিশ্বকাপ জিততে ইংল্যান্ডের চাই ২৪২ রানআবারও জ্বলে উঠলেন ইংলিশ বোলাররা। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও তারা দুর্দান্ত। যাতে লর্ডসের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে নিউজিল্যান্ডকে অল্পতেই আটকে রাখতে পেরেছে ইংল্যান্ড। হেনরি নিকোলসের হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে টম ল্যাথামের প্রতিরোধে নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইদের স্কোর ৮ উইকেটে ২৪১ রান।শেষ চারের লড়াইয়ে ক্রিস ওকস ছিলেন দুর্দান্ত। ফাইনালেও বল হাতে আগুন ঝরালেন তিনি। শুরুতেই ইংলিশদের সাফল্য এনে দেওয়া এই পেসার ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। তবে সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। ১০ ওভারে ৪২ রান খরচায় তার শিকার কেন উইলিয়ামসন (৩০), হেনরি নিকোলস (৫৫) ও জিমি নিশাম (১৯)।মার্টিন গাপটিলের আউটের পর নিকোলস ও উইলিয়ামসন ৭৪ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়েছিলেন। কিন্তু অধিনায়কের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। গতবারের রানার্স-আপের রান তবু অতদূর গিয়েছে ল্যাথামের প্রতিরোধে। এই ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে আউট হন ওকসের বলে। এর আগে এই পেসারের শিকার হয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (১৬)।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com