October 31, 2024, 3:13 am
জিএম লোকমান হোসেন: ২০১০ সালে শিক্ষাণীতি হওয়ার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এই যুগোপযোগী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সকল স্তরের কর্মীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী তার প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়েগের মাধ্যমে শিশুদের জ্ঞানভান্ডারকে সম্মৃদ্ধ করে চলেছেন। আসলে নবতর ধ্যান ধারনার প্রয়োগের মাধ্যমে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে মাঠপর্যয়ের সরকারী প্রথমিক বিদ্যলয়ে কর্মরত সকল শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি। কারণ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ হয়না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করতে হয়। প্রত্যেকটা বিষয়ের পাঠদানের ধরণ আলাদা আলাদা। তবে শুধু প্রশিক্ষণ প্রহণ করলে হবে না শিক্ষককে আরও আন্তরিক হতে হবে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান শ্রেণীকক্ষে প্রয়োগের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে পাঠকে আরও আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করার জন্য। চিরন্তন সত্য কথা প্রশিক্ষণ-প্রয়োগ-সাফল্য। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান যদি কোন একজন শিক্ষক কাজে না লাগান তা হলে তার প্রশিক্ষণ গ্রহনের কোন মূল্য নেই অর্থাৎ এই প্রশিক্ষণ শিশুর কোনো উপকারে আসবে না এবং এই প্রশিক্ষণের কোন সুফল শিক্ষক ও শিশুরা ভোগ করতে পারবেনা। তাই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রত্যেক শিক্ষকের অবশ্যই দক্ষতার সাথে শিশুদের মাঝে প্রয়োগ করতে হবে।
Comments are closed.