October 31, 2024, 3:13 am
দুই দিন আগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে পর্দা উঠেছিলো বইমেলার। সুর তরঙ্গ আর ছন্দের আবেশ ছড়িয়ে প্রাণের বইমেলায় উঠেছিল তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সেই সুর আর ছন্দের টানে বাঙালির প্রাণের আসর বইমেলায় সোমবার এসে মিলিত হয়েছিলেন শিশু, কিশোর, যুব, বৃদ্ধ সবাই। দিনভর সবশ্রেণির মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিলো বইমেলা প্রাঙ্গন। উপস্থিত লেখক, পাঠক, প্রকাশক-সবার মাঝে ছিল প্রত্যাশার সুর।৮দিনব্যাপী বইমেলার তৃতীয়দিনে লেখক-পাঠক-ক্রেতা-প্রকাশকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণ। জমে উঠেছিলো আড্ডা, আলোচনার জমজমাট আসর।সাইবার যুগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ হয়ে থাকা মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার এনেছিলো বইমেলার তৃতীয় দিন। নতুন বইয়ের পাতা উল্টে ঘ্রাণ নেওয়ার উন্মাদনা ছিলো শিশুদের মধ্যে।বইমেলা বাঙালির প্রাণের এ উৎসব। বইমেলায় শুরু থেকে তরুণদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। যেখানে সবার বদ্ধমূল ধারণা, তরুণদের মধ্য থেকে বই পড়ার অভ্যাস উঠে গেছে। যে তরুণরা রাত-দিন মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে গেমস নিয়ে পড়ে থাকে, সেই তরুণদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। বন্ধুদের নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলায়, হাতে করে ফিরেছেন পছন্দের লেখকের বইটি নিয়ে।সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, লামিয়া আক্তার ও প্রেমা বলেন, ‘তিন বান্ধবী একসাথে মেলায় এসেছি। বেশ কয়েকটি বই সংগ্রহ করেছি। বইমেলায় আসলে প্রাণ খুলে ঘুরে বেড়াতে পারি। সারাবছর পাঠ্যবই ছাড়া বই তেমন পড়া হয় না। কিন্তু বইমেলা আসলে আমরা অনেক বই পড়তে পারি। অনেক বইয়ের সাথে পরিচিত হতে পারি। জানতে পারি লেখকদের সম্পর্কে।’সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত ও নাহিদ জানায়, তারা মেলায় এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত কাব্যগ্রন্থ সংগ্রহ করতে। ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি তাদের দুজনকেই আকর্ষণ করেছে। খালেদা খাতুন নামের এক শিক্ষক জানান, প্রযুক্তির যুগে এসেও কাগজের মলাটের বইয়ে মানুষের রয়েছে প্রাণের টান। বই এখন আর কেউ পড়ে না- এমন আক্ষেপ থাকলেও বইমেলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে নতুন পাঠক। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান তারা।
Comments are closed.