বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় বিনেরপোতা সাতক্ষীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধ দখল করে প্রাচীর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে বিনেরপোতা ধান গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের মাত্র তিনফুট দুরুত্ব রেখে প্রায় ২৫০ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ফুট প্রস্থ জুড়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে রডদিয়ে কলম তৈরি করে প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। সড়ক ও মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের মাঝখান থেকে মহাসড়কের দুই ধারে ৫০ফুট করে জায়গা মেপে বিভিন্ন স্থানে লাল রং দিয়ে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু বিনেরপোতা ধান গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আইন অমান্য করে ধান গবেষণা কেন্দ্রের সামনে বিনেরপোতা মাছবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার উপর প্রাচীর নির্মান করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা থেকে খুলনা, ঢাকার কাউরান বাজার, চট্রোগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরে সাতক্ষীরার যত মাছ রপ্তানি করা হয় তার ৮০শতাংশ বিনেরপোতা মাছ বাজার থেকে প্রতিদিন ১০-১২ ট্রাক মাছ লোড করা হয়। বিনেরপোতা মাছ বাজার থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টন মাছ বিভিন্ন অভ্যন্তরে চলে যায়। জেলার মাছ রপ্তানির সবচাইতে বড় স্থান বিনেরপোতা মাছ বাজার। আর এবাজারে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত শত শত মানুষ মাছ ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন। আর এ ক্রয়-বিক্রয় কাজে মাছ চাষী ও মাছ ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত যানবাহন রাখার জায়গাটি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছেন বিনেরপোতা ধান গবেষণা কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে, স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানান, বিনেরপোতা মাছ বাজারের এ জায়গা যদি ধান গবেষণা কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখল করে প্রাচীর নির্মান করেন, তবে ব্যস্ততম সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটতে থাকবে। মাছবাজারের ওই খালি জায়গা উম্মুক্ত রাখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী।