October 31, 2024, 3:12 am
ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ দিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। এর ফলে দেশের অন্যতম এই স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। রোববার (২৮ জুলাই) বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু এ তথ্য জানান।
এর আগে, সার্ভার বিকল থাকায় গত শনিবার (২০ জুলাই) থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে শত শত পন্যবাহী ট্রাক।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইন্টারনেট সেবা চালু হলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু হয়। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক শ্রী কমলেন্দু জানান, ‘ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করতে পেরেছি। গত চার দিনে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েক হাজার হাজার ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল।’
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সচলে আটকে থাকা পণ্য বন্দর থেকে খালাস শুরু হয়েছে। তবে কাজে খুব ধীরগতি। ইন্টারনেট স্বাভাবিক না হলে বাণিজ্য পুরোদমে চালু হওয়ার সুযোগ নেই। আমদানিকারক সোহেল রানা জানান, গত ৫ দিনে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জরুরি কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। অনেকের ধারণা, এতে ক্ষতি ১০০ কোটির কাছাকাছি হবে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো। গত ৫ দিন আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় সার্ভার বিকল ছিল। এ সময়ে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এতে বন্দরের স্বাভাবিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
Comments are closed.