অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দ্বিপক্ষীয় তিনটি প্রকল্প ও সাতটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উভয়পক্ষ। এ প্রকল্পগুলো হলো বাংলাদেশ থেকে এলপিজি আমদানি, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে একটি বিবেকানন্দ ভবন ও খুলনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স-এ বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট স্থাপন। অন্যদিকে চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেয়া, সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত কর্মসূচি নবায়ন ও বাংলাদেশের উপকূলে নজরদারি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয় এটা সুস্পষ্টত, এখন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বহু বিস্তৃত। এটা সম্ভব হয়েছে দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে। উপরন্তু, দক্ষিণ এশিয়ার উদ্যম হিসেবে দ্রুত উত্থান ঘটছে বাংলাদেশের। এখানে এ বছর এবং পরবর্তী বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৮ ভাগের উপরে অর্জিত হবে বলে ধরা হয়েছে।এখানে এখন মাথাপিছু আয় প্রায় ২০০০ ডলার। এর সঙ্গে, আরো ইঙ্গিত মিলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধের কারণে সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২০১৮ সালে দেশটির রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে এ বছর দাঁড়িয়েছে শতকরা ১০.১ ভাগ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, ঐতিহাসিক কারণে, ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বেশি দৃষ্টি রাখা হচ্ছে পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু অর্থনৈতিক অধিক পরিমাপে পাকিস্তানকে নীরবে উতরে গেছে বাংলাদেশ। তাই এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের। বাংলাদেশ এখন আর একটি দরিদ্র দেশ নয়, দুর্ভিক্ষকবলিত দেশ নয়। উল্টো, যথার্থই দক্ষিণ এশিয়ার একটি ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে অব্যাহত রাখতে ভারতীয় নেতৃত্বকে অবশ্যই এনআরসি’র মতো প্রকল্প ঠেলে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনআরসি’র বিষয়ে শেখ হাসিনাকে নিশ্চয়তা দেয়া সত্ত্বেও, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টান ফেলেছে এই ইস্যু।অর্থনীতিতে ভালো করছে বাংলাদেশ। তাই অবৈধ অভিবাসীদের ঠেলে দেয়ার মূল ফ্যাক্টরটি আর বিদ্যমান নেই। প্রকৃতপক্ষে, ঢাকার সফলতা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত নয়াদিল্লির এবং নিজের অর্থনীতিকে উন্নত করতে সংস্কারের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত।