July 27, 2024, 2:54 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
ভাষা শহীদরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথও তৈরি করেছিলেন

ভাষা শহীদরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথও তৈরি করেছিলেন

ভাষা শহীদদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা শহীদরা রক্ত দিয়ে শুধু মাতৃভাষায় কথা বলা নয়, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথও তৈরি করে দিয়েছিলেন।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে একুশ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের রক্ত দিয়ে শুধু মাতৃভাষায় কথা বলা না, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন, আমরা তাদের প্রতি সম্মান জানাই।

একুশে পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আজ আমাদের ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিকদের নামে পুরস্কার পেয়েছেন। আমি আপনাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই যারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ অবদান রেখে আজ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের কাছ থেকেই আগামী প্রজন্ম অনেক শিক্ষা নিতে পারবে। কারণ এই দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, সংস্কৃতি চর্চা, সমাজসেবা, বিভিন্ন কাজে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাচ্ছেন তাদেরকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা না, এটা জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।

বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাঙালি। বাংলা আমাদের দেশ। এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্নমর্যাদা নিয়ে চলব।

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব এবং ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশে পদক প্রাপ্তদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, করোনা মহামারি চলছে। যদিও ভ্যাকসিন এসেছে, ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি। অন্তত মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আজকের ভাষা দিবস হিসেবে আপনারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদানের জন্য ভাষার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের কাছ থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে। এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা নয়, জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সংগ্রাম করে যান। সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মাকে মা বলে ডাকতে পারি, স্বাধীনতা অর্জন করি।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এ বছর একুশে পদক প্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার) (মরণোত্তর), মরহুম শামছুল হক (মরণোত্তর) এবং মরহুম আফসার উদ্দিন (মরণোত্তর)। শিল্পকলা বিভাগে (সংগীত) বেগম পাপিয়া সরোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলোকচিত্রে পাভেল রহমান। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুল রহমান খান ফারুক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)।

সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান। ভাষা এবং সাহিত্যে এই সম্মাননা পেয়েছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী এবং গোলাম মুরশিদ।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com