ভোমরা ইউনিয়নের মেম্বরকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- Update Time :
Sunday, July 21, 2019
-
97 দেখা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় নাগরিক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী রবীন কর্তৃক ভোমরা ইউনিয়নের মেম্বরকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল গণি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ভোমরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়ীত্ব পালন করে আসছি। গত ১৯ জুলাই দৈনিক কালের চিত্রসহ কয়েকটি পত্রিকায় হাড়দ্দাহ ইউনাইটেড ক্লাবের নির্বাচন দাবী করে ভারতে পাঠানোর হুমকি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যেসব মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি কোন দিন ওই ক্লাবের সদস্য ছিলাম না বা চাঁদাবাজি এবং কালোবাজারের সহিত জড়িত ছিলাম না, বর্তমানেও জড়িত নই। প্রকৃত পক্ষে মৃত শৈলেন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে রবিন ঘোষ ভারতে লেখা পড়া করে ওখানে চাকুরি করতো। সে ভারতের চব্বিমপরগনা জেলার বসিরহাট থানার জামরুলতলা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে বসবাস করতো। তার রেশন কার্ড নং ২২৬০৩৫, তার ভারতের ভোটার ক্রমিক নং ১০৩। সে চাকরির পাশাপাশি অধিক লাভের আশায় ভারতে ইটভাটা চালু করে। কিন্তু সেখানে ঋন গ্রস্ত হয়ে বাধ্য হয়ে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে তার মায়ের আশ্রয়ে চলে আসে। সেসময় এদেশে তার জন্ম নিবন্ধন না থাকায় ২০১৫/১৬ সালে সে জন্ম নিবন্ধন করে। তিনি বলেন, তাকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে নিজেই তার মায়ের শেষ সম্বলটুকু বিক্রয় করে এদেশ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ভারতে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। সে কারনে কয়েক মাস ধরে তার মাকে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তার মা রাজী না হওয়ায় কয়েকবার সে তার মাকে মারপিট করে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তার মা সুশীলা বালা ঘোষ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের গলশুনানীতে অভিযোগও করেছেন। গত ৬/৭ মাস পূর্বে তার মাকে সে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে ওই অসহায় বৃদ্ধা মা অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ে আছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারুল আমার পরামর্শ চাইলে, আমরা দুজন রবীন ঘোষের বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি।কিন্তু রবিন ঘোষ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্য সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি আরো বলেন, ওই রবিন ঘোষ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। বিগত ২০০৩ সালে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকায় ভারতীয় নাগরিক রবিন্দ্র অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে অস্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জন প্রতিনিধিগণ তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। বর্তমানে সে বীরদর্পে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার বৃদ্ধ মায়ের তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করায় তার সাথে বিরোধ বাধে। আর এ বিষয়টিকে পুজি করে সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমরা এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদসহ রবিন ঘোষের বিরুদ্ধে আবানগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।