January 15, 2025, 11:08 am
মাটির পুকুরে গলদার রেণু উৎপাদন করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনকারী অপু মন্ডল এখন নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকার সুপরিচিত একটি নাম। তার বাড়ি তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে। জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন’র (পিকেএসএফ) অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় এবং সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা (সাস) কর্তৃক বাস্তবায়িত পিএসিই প্রকল্পের আওতায় মাটির পুকুরে গলদার পিএল (রেণু) উৎপাদন পাইলটিংটি এর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সেই উদ্যোগের সারথি হয়ে অপু মন্ডল ৪ শতাংশ মাটির পুকুরে ডিমওয়ালা মা গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেন। এবং পেইজ প্রকল্পের ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট’র টেকনিক্যাল গাইডলাইন ও ম্যানেজার আল-ইমরান, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিএম হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম সংঘটক শাহ আলম, ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর বাবু কুমার রায়, সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর মো. আবু জাহিদ, পরামর্শক সঞ্জয় সরকার, এভিসিএফ মো. মমিনুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর, হিসাব রক্ষক মো. সাইদুর রহমান এর দক্ষ মনিটারিং এবং সাসের নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপু মন্ডলের পাইলটিংটি সফল হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাটির পুকুরে গলদার রেণু (পিএল) উৎপাদন উদ্যোগটি অত্র এলাকার চাষিদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এর ফলে চাষিদের হ্যাচারী বা নদীর পোনার উপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। চাষিরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় পিএল (রেণু) নিজস্ব ঘেরে বা পুকুরে উৎপাদন করতে পারবে এবং রেণু প্রাপ্তিতে যে দুর্ভোগ হতো তার লাঘব হবে। চোরাই পথে ভারত থেকে আসা নিম্নমানের গলদার রেণুর আধিক্য কমবে। উপযুক্ত পরিবেশে এই নতুন প্রযুক্তি সারা বছর ব্যবহার করা যাবে। ফলে গলদার উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে বিশ্ববাজারে। সেই সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সম্মৃদ্ধশালী হবে এবং বেকারত্ব কমবে। মাটির পুকুরে গলদার রেণু উৎপাদন সম্পর্কে উদ্যোক্তা অপু মন্ডল জানান, প্রথমে লাভ বেশি হওয়ায় বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলতি বছরে টানা ২ মাসের পরিশ্রমের ফলাফল সন্তোষজনক।
Comments are closed.