February 18, 2025, 10:28 pm
শামসুর রুহমান,শহর প্রতিনিধিঃ পলাশপোল এলাকার মৃত মনিরুল ইসলাম খানের পূত্র মাদকাসক্ত বিপুর অত্যাচারে তার পরিবার ও এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ।সে ফেনসিডিল,ইয়াবা,গাজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকে।মাদকের টাকা যোগাড় করার জন্যে সে তার চাচাদের উপর নানা রকম ভাবে চাপ সৃষ্টি করে।তার চাচা রবিউল ইসলাম খান বলেন,সে এতটাই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে যে মাদক সেবন করতে দোকানদারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকার দাবি করে যা আমাদের বিভিন্ন ভাবে পারিবারিক হেয় প্রতিপন্ন করছে।আমার ঘরের পাশে তার ঘর থাকায় মাদকের টাকা নিয়ে তার পরিবারের সাথে সব সময় বিশৃংখলা লেগে থাকে যা আমরা পাশে থেকেই বুঝতে পারি।তাছাড়া তার প্রাপ্য অংশ পৌরসভার মাধ্যামে তাকে বুঝিয়ে দেও্যা হয়েছে।বিপুর আরেক চাচা ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা ছবিউল ইসলাম খান বলেন আমাদের পরিবার সাতক্ষীরার একটি সভ্রান্ত পরিবার।বিপু মাদকাসক্ত হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সকলেই তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।তাছাড়া একটি চেক জালিয়াতি মামলায় তার সাজা হয়ে গেলে আমরা পারিবারিকভাবে তাকে অনেক টাক খরচ করে জেল থেকে বাহির করি।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ১৭-০৪-১৯ তারিখে একটি সাধারন ডায়েরি করি।পলাশপোল নবজীবনের পাশে হাজী শামসুর রহমান বলেন,প্রতিদিন সকাল বিকাল সে মোটর সাইকেলে করে ভোমরাই মাদক সেবনের জন্যে যায়।কয়েকবার সে মাদক সেবন করতে যেয়ে বর্ডার গার্ডের হাতে ধরা খেয়ে মুচলেকা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।সে আমার সাথেও রাতে কয়েকবার খারাপ ব্যাবহার করেছে।সে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে।আমি দিতে অপারগতা জানালে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে আমি পুলিশের কাছে যাইনি।বিপুর চাচা রবিউল ইসলাম খান বলেন,আমি তার বড়ভাই বাপিকে জানিয়েছি সে যদি সে যদি ব্যাবস্থা গ্রহন না করে আমরা প্রশাসনের মাধ্যামে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।ঘটনার সত্যতা জানার জন্যে বিপুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে দুই ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী মাননীয় পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Comments are closed.