নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে মাহমুদপুর গালর্স কলেজিয়েট স্কুলের সহকারি শিক্ষক (শারিরিক শিক্ষা) আশরাফুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি’র অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি (৭ জুলাই) স্কুলের সহকারি শিক্ষক আশরাফুর রহমানের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে এনে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি’র রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসের বিদ্যালয় পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও আরিফ ইসলাম বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।স্থানীয়ররা জানান, ২০০১ সালের ৬ জুন যোগদানের পর থেকে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে ম্যানেজিং কমিটির ও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীর আর্শিবাদপুষ্ট ঐ শিক্ষক প্রতিবারই অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়ে যান। স্থানীয়রা আরো জানান, এবারের অভিযোগের পর বিষয়টি স্থানীয় দ্বন্দ্ব হিসেবে চালিয়ে দিতে তিনি মোটা অংকের অর্থের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এমনকি পত্র পত্রিকায় তার পক্ষে রিপোর্ট ছাপতেও কাজ শুরু করেছে মহলটি।যদিও ঐ শিক্ষকের পক্ষের একটি গ্রুপের দাবী ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থীর বাড়ি যেয়ে অভিযোগ লিখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র শীল বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সহকারী শিক্ষক আশরাফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিষয়টি সমাধান করা হবে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ।