March 28, 2025, 9:41 am
জাতীয় দলের আশপাশে রয়েছেন। দলেও প্রবেশ করেছেন। তবে কোনো ফরম্যাটেই এখনও অভিষেকের ক্যাপ মাথায় ওঠেনি। শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে রয়েছেন। একাদশে না থাকলেও দলে ছিলেন। ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছিল। একাদশে থাকতে না পারলেও বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে মনে করেন শরিফুল ইসলাম।
ঘরোয়া ক্রিকেটেও ক্যারিয়ারটা খুব বড় নয়। তবুও জাতীয় লিগ, বিপিএল, বঙ্গবন্ধু কাপ, প্রিমিয়ার লিগসহ বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলা হয়েছে শরিফুলের। কিন্তু কোনোবারই মুশফিকুর রহীমের উইকেট নিতে পারেননি। তার উইকেট নেয়ার খুব শখ উঠতি এই পেসারের।
মুশফিকের ব্যাটিং খুব ভালো লাগে শরিফুলের। তামিম ইকবালেরও। যদিও মুশফিকের উইকেট নেয়ার শখ তার। আজ শ্রীলঙ্কায় পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে শরিফুল বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে মুশফিক ভাইয়ের ব্যাটিং। তাকে এখনও আমি আউট করতে পারিনি। যে কোনো খেলায় তার উইকেট নেয়া আমার একটা ইচ্ছা। মুশফিক ভাই আর তামিমের ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে। আমি আগে দেখতাম তাদের খেলা। এখন তাদের সাথে খেলতেছি, তাদেরকে বল করতেছি এটা ভালো লাগতেছে। তাদের সাথে ভালোই ফাইট হচ্ছে নেটের মধ্যে।’
ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্টে ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন তাসকিনদের বোলিং। তার বোলিং দেখে মুগ্ধ শরিফুল। তিনি বলেন, ‘তাসকিন ভাই অনেক লং স্পেল করছে, অনেক ওভার করছে। তাসকিন ভাই, এবাদত ভাই, রাহী ভাই – সবাই ভালো বোলিং করেছেন। তাসকিন ভাই আর এবাদত ভাই অনেক জোরে বোলিং করছে। সেটা দেখে অনেক ভালো লাগছে যে, এত গরমে ফার্স্ট টু লাস্ট একই পেস দিয়ে জোরে বল করা।’
সবকিছু দেখে তাসকিনের মনে হয়েছে, টেস্টে নিজেকে পুরোপুরি নিংড়ে দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘টেস্ট খেলাটা এমনই যে নিজের হান্ড্রেড পারসেন্টটা দিতে হয়। তারা চেষ্টা করছেন হান্ড্রেড পারসেন্ট দেয়ার। যদি আমি কখনও সুযোগ পাই, আমিও চেষ্টা করব হান্ড্রেড পারসেন্ট দেয়ার ইনশাআল্লাহ।’
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য প্র্যাকটিস কেমন হচ্ছে? জানতে চাইলে শরিফুল বলেন, ‘অনেক ভালো প্র্যাকটিস করতেছি এখন। সবাই মিলে…, এক্সট্রা যদি বলেন জিম করতেছি, রানিং করতেছি, স্পট বোলিং করতেছি। ওটিস গিবসন বোলিংয়ের সুইং তারপর গ্রিপ- সবকিছু শেখাচ্ছে। তো ইনশাআল্লাহ যদি কখনও খেলি, যেগুলো প্র্যাকটিসে শিখছি সেগুলো খেলায় এপ্লাই করার চেষ্টা করব।’
শরিফুলের ইচ্ছা, তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি যখন খেলা শুরু করছি তখনই আমার চিন্তা ছিল যে তিনটা ফরম্যাটই খেলব। ইনশাআল্লাহ যদি আমি টেস্ট খেলি কখনও, নিজের বেস্টটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমার কোচ, যার কাছে আমি প্র্যাকটিস করছি, শিখছি উনি টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন। তো উনি বলতেন যে টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা হলো সর্বোচ্চ একটা মানের খেলা। তো ওইখানে খেলতে পারলে ভাল হবে আর নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবা। তো কখনও যদি সুযোগ পাই সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’
Comments are closed.