October 23, 2024, 7:07 pm

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: arahmansat@gmail.com
মেয়ের কবরের সামনে বসেই কাঁদছেন মা-বাবা

মেয়ের কবরের সামনে বসেই কাঁদছেন মা-বাবা

মেয়ের শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নাহিদা আক্তার পারুল। স্বজনরা তাকে স্বান্ত্বনা দিয়েও কান্না থামাতে পারছেন না। দু’দিন ধরে কিছুই খাননি। শারীরিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন তিনি। রুম্পার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেন তিনি। রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নিহত শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। রুম্পার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়ের বিজয়নগর।মা নাহিদা আক্তার পারুল বারবার চিৎকার করে বলেন, জরুরি কাজের কথা বলে গেল, ফিরল লাশ হয়ে। আমার মেয়েকে কত কষ্ট দিয়ে ওরা মেরেছে। মরার সময় মেয়েটি কতবার জানি, মা-মা বলে চিৎকার করেছে। তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রছাত্রীদের শিফট আলাদা হওয়ায় দু’দিন ধরে মেয়ের মনও খারাপ ছিল। তার সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল কি, না তা বলতে পারছি না। বুধবার সকালে ডিম ভাজি করে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছি।মেয়ের কবরের সামনেই বসে অঝোরে কাঁদছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবা মো. রুককুন উদ্দিন। স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, যার যায় সেই বুঝে। আমি মেয়ে হারাইনি, আমি আমার সর্বস্ব হারিয়েছি। কত কষ্ট করে মেয়েকে লালন-পালন করে বড় করেছি। সামনে কত সুন্দর ভবিষ্যৎ পড়েছিল তার। অথচ তার আগেই মেয়েকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো। রুম্পার ফুফু চামেলী খাতুন জানান, কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কিনা, জানি না। এভাবে একটা মেয়েকে মেরে ফেলবে? আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।এর আগে বুধবার (৪ ডিসেস্বর) রাতে রাজধানীর ইনার সার্কুলার রোড থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার ভোর ৫টায় রুম্পার লাশ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেলা ১০টায় জানাজা শেষে পরিবারিক গোরস্থানে দাদী রুবিলা খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com