বিদেশের খবর : কাশ্মীরে দমনপীড়নের দায়ে টেক্সাসের হাউসটনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন মার্কিন বংশোদ্ভূত কাশ্মীরিরা।যে স্টেডিয়ামটিতে মোদির রোববারের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, সেটির বাইরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। মোদির সঙ্গে ওই সমাবেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও থাকবেন।মোদির বিরুদ্ধে মার্কিন কাশ্মীরিদের অভিযোগ, উপত্যকাটিতে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন বলেন, মোদি যখন দেশের বাইরে, তখন তার জন্য এটা কোনো উদ্বেগ তৈরি করবে না। তিনি ভারতের অন্য প্রধানমন্ত্রীদের মতো না।তিনি বলেন, নয়াদিল্লিতে মোদি হলেন এক ধরনের বুদ্বুদ। এখন দেশের বাইরে গিয়ে তার বিস্ফোরিত হওয়ার এবং কাশ্মীরে যা ঘটছে, তা নিয়ে কিছুটা সমালোচনার শোনার সময়।গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় হিন্দুত্বাবাদী সরকার। এরপর মুসলমান অধ্যুষিত রাজ্যটিতে যোগাযোগ অচলাবস্থা চলছে।এদিকে কাশ্মীর দখল এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে করা একটি মামলায় ২১ দিনের মধ্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের অন্যান্য সদস্যকে জবাব দিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।হাউসটনে মার্কিন জেলা আদালতে কাশ্মীর খালিস্তান রেফারেন্ডাম ফ্রন্ট একটি অভিযোগ দাখিল করলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।অভিযোগে ফ্রন্ট বলছে, গত ৫ আগস্ট হিন্দুত্ববাদী মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কাশ্মীর দখল করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ওই ভূখণ্ডকে মোদি সরকার ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছে।মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবৈধ দখলদারিত্বের দায়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিহ শাহ ও কানওয়াল জিৎ সিংকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে এ মামলায়।দীর্ঘ এবং নজিরবিহীন কারফিউ জারি, যোগাযোগ অচলাবস্থা, বাসিন্দাদের মৌলিক প্রয়োজন অস্বীকার, অবৈধ আটক, গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বরে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের(এপি) একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আসামিদের নিয়ন্ত্রণে ভূখণ্ডটির পরিস্থিতিকে ভীতিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে ভারতীয় বাহিনীর সংঘটিত সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এপিকে বলেন, উপত্যকাটিতে ভারতীয় সরকার মারাত্মক নিরাপত্তা ধরপাকড় চালাচ্ছে। স্থানীয় লোকদের বেধরক পিটিয়েছে ভারতীয় সেনারা। কখনো কখনো লোকজনকে ধরে বৈদ্যুতিক শকও দেয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।