October 23, 2024, 7:07 pm
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:
যতবড় নেতা হোক বা জনপ্রতিনিধি হোক সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে যমুনা পাড়ে বসবাসকারি ভূমিহীনদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের নামে চাঁদাবাজি করলে তাদেরকে ছাড়া হবে না। সরকার কোন আশ্রায়হীন বা ভূমিহীন, অসহায় মানুষের নিকট হতে ঘরের বিনিময় টাকা গ্রহন করে না। এমন কাজে যাদেরকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবং থানার অফিসার্স ইনচার্জকে নিদের্শ দেন। তিনি বলেন যমুনা নদী খনন বা ভূমিহীনদের উচ্ছেদ এর ব্যাপারে কোন তথ্য আমার জানা নাই। যদি যমুনা খাল খনন হয় তবে আশ্রায়হীন ভূমিহীনদের প্রথমে পুনঃবাসন করে তার পর তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোন ভূমিহীনের নিকট কেহ অর্থ বা চাঁদা দাবি করে তা হলে বিষয়টি প্রথমে উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। শুক্রবার বেলা ১০ টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার দুদলী গ্রামের নতুনহাটে ভূমিহীন রহিমা খাতুনকে মার-পিটের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল এ কথা গুলো বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিষ্টেট সিফাতউল্লাহ, থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন সহ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ। পরিদর্শনকালে চর-যমুনা পাড়ের শত শত ভূমিহীন পুরুষ ও শিশুদের উদ্দেশ্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল বলেন ঘর নির্মাণের জন্য কাউকে টাকা, আইডি কার্ড বা ছবি দিবেন না। যদি কোন ব্যাক্তি ঘর নির্মাণের অর্থ বা চাঁদা দাবি করে সাথে সাথে আমার অফিসে যেয়ে জানাবেন। আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে আমার প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করব। এসময় ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা মোশারাফ হোসেন, মুনছুর আলী, রফিকুল ইসলাম সহ শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে বলেন ঘর দেওয়ার নাম করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসি বাহীনির সদস্য আরিফুল ইসলাম আটুল, রায়হান এসে প্রতিনিয়ত ঘরের জন্য ছবি আইডি কার্ড সহ টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে রহিমা খাতুন বুধবার বিকালে প্রতিবাদ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে এবং তার ক্যাডার বাহিনী ভূমিহীন রহিমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। উক্ত ঘটনায় বাঁচতে এখন মুসা এবং মোস্তফা নিজেদের ব্লেড দিয়ে কেঁটে হাসাপাতালে ভর্তি হয়ে উল্টো ভূমিহীন নামে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছে। এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন ভূমিহীনদের উদ্দেশ্য বলেন দু’পক্ষের দুটি অভিযোগ আমার নিকট এসেছে। আমি এলকার শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষার্থে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে ভূমিহীনদের শান্ত থাকার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন জমি বা ঘর দেওয়ার নামে কাউকে টাকা দিবেন না। কেউ টাকা চাহিলে বিষয়টি সাথে সাথে আমাকে জানাবেন। এ রিপোর্ট পযর্ন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেলের অফিসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভূমিহীনদের মধ্যে বৈঠক চলছিল।
Comments are closed.