March 27, 2025, 5:17 pm
কলারোয়ার নব্য আওয়ামীলীগ নেতার খুটির জোর কোথায় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক সময়ের দাপুটে এই বিএনপি নেতার নাম এরশাদ আলী। তিনি উপজেলার যুগীখালী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে। জামায়াত শিবিরকে সাথে নিয়ে এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে পরাস্থ করতে মাঠে নেমে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো এই এরশাদ আলী। এলাকায় চাঁদাবজি, সন্ত্রাসীসহ নানা অপকর্ম করার জন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বহিনী। পট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে আড়াল করতে আওয়ামীলীগে ঢুকে পড়েন। বর্তমানে দ্বিধা বিভক্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।গত মঙ্গলবার রাতে নাশকতা কর্মকান্ডের দায়ে কলারোয়া থানার তার ও তার বহিনীর নামে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।উপজেলার ১২ নং যুগীখালী ইউনিয়ন পরিষদের উইপি সদস্য (সংরক্ষিত) বিউটি ইয়াছমিন বাদি হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী বিউটি ইয়াছমিন জানান, যুগীখালী গ্রামের নব্য আওয়ামীলীগার এরশাদ আলী, সাহাজান আলী, গোলাম মোর্শেদ বাচ্চু মোড়ল দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলো। না দিলে খুন জখমসহ নানাবিধ ক্ষয় ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এসব নিয়ে এরশাদ গংদের সাথে সামাজিক বিরোধ চরম আকার ধারন করে।তিনি আরো জানান, তার স্বামী জাহাজমারী এবি পার্ক পরিচালনা করে করে থাকেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পার্কের গেট বন্ধ করে সবাই বাড়ি চলে যাওয়ার পর পূর্ব শক্রুতার জের ধরে এরশাদ আলী তার বাহিনী নিয়ে পার্কের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। পার্কের মধ্যে অফিস কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ক্ষতি সাধন করে। এসময় তারা ক্যাশ বাস্কের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে এরশাদের বহিনীর সদস্যরা হাঁসের খামারে হামলা চালিয়ে উন্নত প্রজাতির হাঁস মুরগী মেরে ফেলে। এসময় পার্কের কর্মচারী শহিদুল ইসলাম ও সানারুল ইসলাম তাদের বাঁধা দিতে এগিয়ে গেলে তাদেরকে মারপিট করে আহত করে।পরে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এরশাদের নেতৃত্বে তার বহিনীর সদস্যরা মারপিট করতে উদ্যাত হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য থানা পুলিশে খবর দিলে সন্ত্রাসীরা বাড়া বড়ি করলে খুন জখমসহ আরো ক্ষয় ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।এবিষয়ে পার্কের মালিক আবুল বাশার জানান, পার্কের মধ্যে দুটি মাছের ঘেরসহ বহু স্থাপনা আছে। সন্ত্রাসীরা মোটা অংকের চাঁদার দাবিতে তাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
মুনীর-উল-গীয়াস অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জানান, আইন অমান্যকারী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। পার্কে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।সরেজমিনে এলকাবাসি জানায়, বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকা কালে এরশাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলো। এখন উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান অংশের সাথে মিশে নব্য আওয়ামীলীগার হয়ে গেছেন। এখন সে বীর দর্পে ফের তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাত, বিদেশে লোক পাঠানো, জমি দখল, চাঁদা দাবিসহ নানাবিধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত বিএনপি থেকে আ.লীগে ঢুকে পড়া এই এরশাদের খুটির জোর কোথায় তা নিয়ে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।অভিযোগ ওঠা এরশাদ আলী জানান, তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বিএনপি জামায়াত করলেও তিনি এখন আওয়ামীলীগ করেন। তিনি কাউকে শক্রু মনে না করলেও এলাকার অনেকেই শক্রু ভাবে। তাতে তার কিছু যায় আসে না। তা ছাড়া আবুল বাশারের এবি পার্কটি ভেঙ্গে চুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হবে। যে ভাবেই হোক পার্কটি বন্দ করে দেয়া হবে। কারন এখানে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে।এরশাদ আলী গংদের নাশকতাসহ পার্কে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যুগীখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নব্য এই আওয়ামী নেতার সস্ত্রাসী কর্মকান্ডে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলো কোনঠাসা হয়ে হয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
Comments are closed.