July 27, 2024, 6:29 am
বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার করেছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) একটি সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি বলছে, করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন ঘোষণায় ঘরে ফেরা মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ছোট যানবাহন ও মালামালবাহী যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হওয়ায় সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকলেও বিপুলসংখ্যক যাত্রাবাহী বাসও পারাপার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাসেকের একাধিক সূত্র।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘরে ফেরা মানুষের চাপে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপও বেড়েছে। মালবাহী ট্রাকসহ খোলা ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা। দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা থাকলেও অনেক পরিবহন চালকরা তা মানছেন না।
এ প্রসঙ্গে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, যেসব বাস মহাসড়কে আটকা পড়েছিল সেগুলো নিজ নিজ ডিপো বা টার্মিনালে পার্কিং করার জন্য যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব বাসে কোনো যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। পরিবহনগুলো মহাসড়ক থেকে যাতে কোনো প্রকার যাত্রী পরিবহন করতে না পারে, সেজন্য মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এরপরও কিছু বাস গভীর রাতে গোপনে চলাচল করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments are closed.