October 31, 2024, 3:12 am
মুজিব বর্ষ পালন ও সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বই মেলা উপলক্ষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে।
১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই এ বই মেলা। এবারের বই মেলায় মোট ৬৮টি স্টল থাকবে এবং ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে ৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলা একাডেমি, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরসহ ৩২টি খ্যাতনামা প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন।শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ণাঢ্য র্যালি, সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন, ১০টায় আলোচনা সভা, সাড়ে ১২টায় কেককাটাও পত্রিকার মোড়ক উম্মোচন। সাড়ে তিনটায় দর্শকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু থাকবে মীরাক্কেল খ্যাত আরমানের লাইভ পারফরমেন্স।শনিবার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বই মেলায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।মেলায় ১৮নভেম্বর ও ২২নভেম্বর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২০০টাকার বাই কিনলে কুপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা মেলার শেষ দিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি জেলার প্রতিটি স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হবে এমনটি প্রত্যাশা আয়োজকদের।সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান বরেণ্য লেখক ও চিত্রনাট্য পরিচালক সাঁকোবাড়ির সত্ত্বাধিকারী খায়রুল বাসার বলেন, গত বারের বই মেলা অসাধারণ ছিলো। আমরা আশা করছি গত বারের মতো এবারও বই মেলাটি ভালো হবে। গত বারের বই মেলায় ৬২ টি স্টল ছিলো। আমাদের যে প্রত্যাশা ছিলো তার চেয়ে বেশি বই বিক্রি হয়েছে। এবারের বই মেলায় আরও বই বিক্রি হবে সেটা প্রত্যাশা করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, এক সময় জেলার মানুষের মধ্যে একটি বন্ধত্ব ছিলো। বই মেলার মাধ্যমে জেলার মানুষের বন্ধত্ব অনেকখানি কেটে গেছে। গতবারের বই মেলার জেলার মানুষের মঝে প্রাণ সঞ্চার করেছে। এর মাধ্যমে জীবনের গতি ধারাকে পাল্টে দিয়েছে। এই এলাকার মানুষের অনেক দুর্নাম ছিলো তা অনেকখানি ঘুচে গেছে। এই জেলার মানুষ যে বই প্রেমিক তারা সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে গত বারের বই মেলায়। জেলার মানুষ বইয়ের প্রতি ঝুঁকছে। ভালো সময়ে ভালোভাবে। ক্যালেন্ডারভুক্ত করে রাখে প্রতিবছর একই সময়ে বই মেলা করে এটা দাবী। প্রতিবছর বই মেলা করে। জেলার মানুষ প্রমাণ করেছে তারা বই পড়ে। পরীক্ষার কারণে কিছুটা সমস্যা হবে। জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়তে, বই পড়ার বিকল্প নেই। ধন্যবাদ আয়োজকদের।তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর একই সময়ে বই মেলা করা হলে ঢাকার বড় বড় প্রকাশনগুলো আমরা সাতক্ষীরায় খুঁজে পাবো। এতে করে এই এলাকার বই প্রিয় মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকবে। বই কেনার জন্য আগে থেকেই বাজেট করে রাখবে।তিনি আরও বলেন, বই মেলার মানুষের মধ্যে শ্রোতধারা সৃষ্টি হয়েছে। একই বছরে দুটি বই মেলা একটু সমস্যায় ফেলতে পারে জেলাবাসীকে। তারপরও গতবারের বই মেলাই যেসকল ত্রুটি ছিলো সেগুলো কাটিয়ে উঠে আরও ভালো একটি বই মেলার উপহার দেবে কর্তৃপক্ষ। শহিদ রাজ্জাক পার্কের বই মেলা প্রাণের খোরাক যোগাবে সব বয়সী পাঠকদের এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক রাসেল কামরুজ্জামান বলেন, মুজিব বর্ষ পালন ও সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণজয়ন্ত উদযাপন উপলক্ষে এই বই মেল। আমাদের টার্গেঠ সবাই যেন বই মেলায় আসে। ছোট বড় সবাই যেন বই কেনে। গত বার ভালো আশা পেয়েছে এবার পাবো আশা করছি। আমাদের মেলায় ঢাকা থেকে বড় বড় প্রকাশ আসছে। ইতোমধ্যে আমরা সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছি। এবারের বই মেলায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বসবে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, পাঠক ও দর্শণার্থীদের মিলনমেলা।
Comments are closed.