শ্যামনগর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আযহার সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১টি ব্যাংকে ৮ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত উপজেলার ১১টি ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ঈদের তুলনায় এবার ঈদে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে বলে ব্যাংক কতৃপক্ষ জানান। প্রবাসিদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এসেছে। এসব মাধ্যমগুলো হল প্রভু, ট্রান্সফাষ্ট, মানি এক্সপ্রেস, রিয়া, ওয়েষ্টান ইউনিয়ন, মার্সেল প্রভূতি। উপজেলার প্রবাশি আয়ের প্রাপ্ত ১১টি ব্যাংকের তথ্যের মধ্যে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক শ্যামনগর শাখা।প্রবাসি আয়ের ১১টি ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী প্রকাশ ইসলামী ব্যাংক শ্যামনগর শাখার ম্যানেজার মো. মেসবাহ উদ্দিন জানান ঈদুল আযহার সময়ে বিশেষ করে ১লা জুলাই থেকে আগষ্টের মধ্যবর্তী সময়ে প্রবাসি আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। গত বছর ছিল এ সময়ে ১ কোটি টাকা। কৃষি ব্যাংক শ্যামনগর শাখার ব্যবস্থাপক শ্যামল ভট্টাচার্য সুত্রে প্রকাশ, প্রবাসী আয় হয়েছে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। সোনালী ব্যাংক শ্যামনগর শাখার ম্যানেজার বিমল কুমার সানা বলেন, একই সময়ে ব্যাংকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ লক্ষ টাকা। অগ্রণী ব্যাংক সুন্দরবন শাখার ম্যানেজার মো. হাফিজ আল আসাদ বলেন, জূলাই ও আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় হয়েছে ৬০ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। অগ্রণী ব্যাংক ভেটখালী শাখার ম্যানেজার জানান প্রবাসী আয় হয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও অগ্রণী ব্যাংক নুরনগর শাখার ম্যানেজার বলেন, একই সময়ে প্রবাসী আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ১ হাজার। রুপালী ব্যাংক নওয়াবেঁকী শাখার ম্যানেজার নৃপেন্দ্র নাধ মন্ডল বলেন, প্রবাসী আয় হয়েছে ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। অগ্রণী ব্যাংক শ্যামনগর শাখার ম্যানেজার তাপস কুমার সোম বলেন, প্রবাসী আয় হয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। জনতা ব্যাংক শ্যামনগর শাখার ম্যানেজার মো. রাশেদুজামান বলেন, প্রবাসী আয় হয়েছে ৩৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। সাউদ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংকের ম্যানেজার বলেন, প্রবাসী আয় হয়েছে ৭৬ হাজার টাকা ও ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার বলেন, প্রবাসী আয় হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা।ব্যাংক ম্যানেজারবৃন্দ বলেন, প্রবাসিদের আয় পাঠানোর শীর্ষে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। তারা বলেন, প্রবাসি আয় এসেছে সৌদিআরব, ইটালী, কুয়েত, মালেশিয়া, কাতারসহ অন্যান্যদেশ থেকে। তবে সকলে আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর ব্যাংকগুলোতে প্রবাসী আয় বেড়ে চলেছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যম হল প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি রেমিট্যান্স। ব্যাংক কর্মকর্তাবৃন্দ বলেন, শুধু ঈদের সময় নয়, অন্যান্য সময়েও প্রবাসী আয় বেড়েছে। তবে ঈদের সময়ে বেশি প্রবাসী আয় হয়েছে।