October 3, 2024, 10:31 pm
কুমিল্লার আদালতে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।প্রসঙ্গত সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত তৃতীয় দায়রা জজ আদালত কক্ষে বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের উপস্থিতিতে হত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।দুই আসামিই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার শুনানির দিন ছিল সোমবার।পুলিশ জানায়, সোমবার জেলার মনোহরগঞ্জ থানার হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আসে হাসান ও ফারুক। বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এজলাসে বসলে শুরু হয় আদালতের কার্যক্রম।শুনানি শুরু হলে আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করছিলেন। এমন সময় হাসান কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামি ফারুককে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। কিল-ঘুষির সঙ্গে ফারুকের ওপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে।আদালত কক্ষে সবাই অবাক বিস্ময়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকেন। তারা বুঝে উঠতে পারছিল না, আসলে কী হতে যাচ্ছে। আদালত কক্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।নিরুপায় ফারুক দৌড়ে এজলাসের পাশে বিচারকের খাস কামরায় ছুটে গেলে হাসান সেখানে গিয়েও তাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এতে রক্তে ভেসে যায় আদালত কক্ষটি।একপর্যায়ে পুলিশ হাসানকে আটক করে। পুরো ঘটনা বিচারকের সামনেই ঘটে। উপস্থিত আইনজীবী এবং তাদের সহকারীরা ফারুককে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি আজ কুমিল্লার এসপির সঙ্গে কথা বলে আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে বলেছি। তবে শুধু কুমিল্লার আদালত না, ৬৪ জেলার সব আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
Comments are closed.