December 11, 2024, 7:13 am
ও গড়ে তোলে। এসব অস্ত্র চাঁদাবাজি, পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ, মাদকের রাজ্য নিয়ন্ত্রণসহ নানা কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। খালেদের নির্দেশের বাইরে বা কেউ তার কথা না শুনলে ক্যাডাররা অস্ত্রের মুখে লোকজনকে তুলে নিত। পরে তাকে কমলাপুরে নিজের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হতো।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে খালেদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন।গণপূর্ত ভবনের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানিয়েছেন, বড় বড় কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার আগে জি কে শামীমের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা পুরো ভবন ঘিরে রাখত। তার সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ দরপত্র জমা দিতে গেলে অস্ত্রের মুখে এসব দরপত্র নিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হতো। শুধু গণপূর্ত ভবনেই নয়; ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভবন, ক্রীড়া পরিষদ ভবন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেল ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের দরপত্র নিয়ন্ত্রণে শামীমের অস্ত্র ব্যবহার হতো।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম সমকালকে বলেন, শামীম ও খালেদ রিমান্ডে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সব সময়েই র্যাব অভিযান চালিয়ে থাকে।ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আর্মস এনফোর্স টিমের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেছেন, ঢাকা থেকে বিভিন্ন সময়েই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। শামীম ও খালেদের অস্ত্র ভাণ্ডারের বিষয়েও নজরদারি চলছে। তাদের ক্যাডারদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। যদিও ওই দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এর একদিন পরই নিকেতনের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় জি কে শামীমকে। তার অফিস ও বাসা থেকে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সাতটি অস্ত্র ছিল তার দেহরক্ষীদের। এগুলো দেহরক্ষীদের নামে লাইসেন্স থাকলেও অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছিল।
Comments are closed.