July 27, 2024, 12:26 am
সাংবাদিক ও প্রেস শ্রমিকদের আয়কর ও গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বুধবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেছে। এতে মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের দ্বাদশ অধ্যায়ে সংযুক্ত সাংবাদিক ও প্রেস শ্রমিকদের আয়কর ও গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশ হিসেবে গ্রহণ করে জারি নবম মজুরি বোর্ডের গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে বলা হয়-
১. সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীগণের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও প্রশাসিনক কর্মচারীগণ কর্তৃক তাদের নিজ নিজ আয় হতে প্রদান করতে হবে।
২. সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীগণ প্রত্যেক বছরে অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর অধিক সময় চাকরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গ্র্যাচুইটি হিসেবে প্রপ্য হবেন।
গত রোববার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুজ্জামান এই দুটি বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাকায় রিট আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায় অনুযায়ী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকেই সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কর্মচারীদের বেতনের উপর আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া নবম মজুরি বোর্ডে সপ্তম অধ্যায়ে দুটি গ্র্যাচুইটি দেওয়ার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও মন্ত্রিরিষদ একটি মূল বেতনের সমান গ্র্যাচুইটি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশটিও নবম মজুরি বোর্ডের গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে, যা স্ববিরোধী বা সাংঘর্ষিক।
Comments are closed.