March 16, 2025, 12:09 am
হাসান ইমামঃসদর থানা পুলিশ সাংবাদিক পরিচয় দানকারী দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের আমতলা গণমূখী মাঠ এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো সাতক্ষীরা সদরের আমতলা গ্রামের মো. বিলাল হোসেনের ছেলে আলামিন প্রমি (২৯) ও একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে শামসুর রহমান (২৬)।এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিকালে গণমূখী মাঠ এলাকায় সৌরভ নামের যুবকের সাথে এক মেয়েকে ধরে ১৪ হাজার টাকা দাবি করে সাংবাদিক পরিচয়দাকারী ওই দুই জন। ১৪ হাজার টাকা না দিতে পারায় এসময় তাদের কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ও আংটি ছিনিয়ে নেয় প্রমি ও শামসুর। এরপরে সৌরভ ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ যেয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় দু’জন ছিনতাইকারীর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত আংটি মোবাইল ক্যামেরা কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার আইডি কার্ড ও বিদেশী চাকু উদ্ধার করা হয়। এদিকে অপর এক সূত্র জানায়, জেলায় ভূঁই ফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক ও কথিত মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ব্লাকমেইল করে এ চক্রটি চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ চক্রের সদস্যরা স্ট্যান্ড ও ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এছাড়া এদের কেউ কেউ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে চাঁদা দাবি ও আদায় করছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। , সম্প্রতি স্থানীয় একটি ভূঁইফোড় অনলাইনের পরিচয়ে এবং আরেকজন মানবাধিকার কমিশনের পরিচয়ে শিক্ষা অফিসে গিয়ে ছবি তুলে এটা-ওটা প্রশ্ন করে অফিসকে বিভ্রান্ত করে। এরপর তারা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় রিপোর্ট করার হুমকিও দেয় তারা। সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিস, ভিসা অফিস, সদর থানা, সরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল, ভোমরা স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব ভূঁইফোড় দৌরাত্মে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। স্থানীয় কোন পত্রিকায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংবাদ প্রকাশের পর এ চক্রটি ওই সংবাদের কপি নিয়ে মাঠে নামে চাঁদাবাজিতে। এদের মধ্যে অনেকেই মাদক কারবারির সাথে জড়িত বলে জানায় সূত্র। এতে করে প্রকৃত সাংবাদিকদের দুর্নাম ছড়াচ্ছে এ চাঁদাবাজ চক্রটি। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সুপার ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থার নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন সাতক্ষীরাবাসি।
Comments are closed.