January 15, 2025, 8:22 am
সাতক্ষীরার ২২ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। এসব গ্রামের তিন হাজারেরও বেশি পরিবার চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। পানি জমে থাকার কারণে এবার এসব গ্রামের বিলগুলিতে বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষকরা এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করতে পারেন নি। এলাকা জুড়ে রয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকটও।
সংবাদ সম্মেলনে পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম জানান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাতক্ষীরা সদর, ব্রম্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়নের এসব গ্রামে নিরাপদ খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি পাম্প বসিয়েও একই এলাকার ২৬ টি বিলের পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশ দূষণ শুরু হয়েছে। এই পানি ব্যবহারের ফলে গ্রামবাসীর দেহে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ এলাকায় কাজ না থাকায় পুরুষ মজুরি ২০০ টাকা ও মহিলা মজুরি মাত্র ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পানিবাহিত নানা রোগ ছাড়াও এ এলাকায় সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে পানি অপসারণের বিকল্প ব্যবস্থা না করা গেলে এলাকার কৃষি ও আর্থ সামাজিক খাত লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। তারা আরও জানান গত প্রায় ২৫ বছর যাবত সাতক্ষীরাসহ পাশ্ববর্তী জেলার ২০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে আছে। এর সাথে যুক্ত হলো আরও ২২ টি গ্রাম। এসব গ্রামের মধ্যে রয়েছে গদাই বিল,রাজারবাগান প্রামাণিক পাড়া,কুলিনপাড়া,বদ্দিপুর তালতলা, কলোনী পাড়া, বসতিপাড়া, শাল্যে, বেড়াডাঙ্গি,মাছখোলা পূর্ব , মাছখোলা পশ্চিম, চেলেরডাঙ্গা, ওমরাপাড়া,মল্লিকপাড়া,জেয়ালা,গোবিন্দপুর,ধুলিহর সানাপাড়া, বাঁধনডাঙ্গা,রামচন্দ্রপুর, দহাখোলা,দামারপোতা,বড়দল ও বালুইগাছা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়ার্দার, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, মীর জিল্লুর রহমান, নাজমা আক্তার, দিলীপ কুমার সানা প্রমূখ।
Comments are closed.