November 11, 2024, 3:25 am
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে দল ও পিপিশিপ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামবাসির ব্যানারে সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। পরে একই দাবিতে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারকলিপি পেশ করেন। মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আকবর আলী, অ্যাড. আব্দুল লতিফের বড় ভাই আব্দুল আহাদ, ভাইপো আব্দুল গণি, মজনু, জরিনা খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অ্যাড আব্দুল লতিফের বাড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে। তিনি বিডিআর এ কর্মরত অবস্থায় দূর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সনদ সংগ্রহ করে আইনজীবী হয়েছেন। তিনি অবৈধ কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০১৩ ও ১৪ সালে কামার বায়সা গ্রামের কমপক্ষে ৪০ জনকে নাশকতা মামলায় ধরিয়ে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার নামে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগ দেওয়ার নামে কমপক্ষে ১৫ জনের কাছ থেকে মাতা পিছু চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছেন। ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণের নামে ও শিক্ষক কর্মচারিদের এমপিও ভুক্তির নামে তিনি ও তার ছলে ওই কলেজের শিক্ষক রাসেলের মাধ্যমে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন।
বক্তারা আরো বলেন, ভাইদের ন্যায্য জমি বুঝিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তার ও ছেলে রাসেলের নির্দেশে বড় ভাই, ভাবি ও তিন ভাইপোকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মামলা দিলেও রাসেল, আমের আলী, তার ছেলে রিপন ও শরিফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। সর্বপরি তিনি আসামী পক্ষ ও বাদি পক্ষ উভয়ের কাছ থেকে মামলার সুবিধা দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আব্দুল লতিফ বিএনপি’র সময় বিএনিপি, জাতীয় পার্টির সময় জাতীয় পার্টি করেছেন। ২০০৯ সালে কৌশলে তিনি আওয়ামী লীগে ঢুকে বর্তমানে বিশেষ সুবিধায় জেলা কমিটির পদ নিয়ে ও দলীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আদালত পাড়া ও গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাকে দল ও পিপি’র পদ থেকে বহিষ্কার করা না হলে সাধারণ মানুষ, বিচারপ্রার্থী ও তার না পছন্দের আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরে গ্রামবাসি আব্দুল লতিফকে দল ও পিপি’র পদ থেকে অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশসাকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ বদিউজ্জামান।
এ ব্যাপারে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, একটি মহল তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Comments are closed.