March 20, 2025, 12:49 pm
Hosan Imam: স্ত্রীর দাবি আদায়ে প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় বসা সাতক্ষীরার তরুনী মঞ্জিলা খাতুন এখন নিরাপত্তাহীনতায়। তিনি বলেন তাকে বুধবার সকালে মারধর করার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার বাড়িঘর ভেঙ্গেচুরে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। অবশেষে সাতক্ষীরা থানায় এসে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন আমাকে বিয়ে করবে বলে ঢাকায় আমার চাকুরি থেকে সরিয়ে বাড়িতে আনে সাঈদ। এখন সাঈদ পালিয়েছে। তার পরিবার বলছে উল্টো কথা।মঞ্জিলা জানান ‘তাকে খুঁজে পেতে চাই। হয় সে আমাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তুলে নেবে। অন্যথায় আমি ভিন্ন পথ অবলম্বন করবো’।মঞ্জিলা গত মঙ্গলবার তার প্রেমিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশঘাটা গ্রামের আবু সাঈদের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবি নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন। এ সময় তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ভেঙ্গে রাস্তায় তুলে দেয় পলাতক প্রেমিক আবু সাঈদের মা খাদিজা খাতুন ও বোন সাবিহা খাতুন। রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত মেয়েটি রাস্তায় বসে তার দাবির পক্ষে গ্রামবাসীর সমর্থন আদায় করেন। খবর পেয়ে রাতেই সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মানিক তাকে নিরাপত্তা দিতে তুলে আনেন থানায়। পরে তার কাছ থেকে একটি অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে ফের তাকে বাড়িতে রেখে আসে পুলিশ।মঞ্জিলা জানান বুধবার সকালে প্রেমিক আবু সাঈদের পরিবারের লোকজন তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের আত্মীয় ইমরান বলেছে ‘বাড়িঘর ভাংচুর করা হবে। থানা থেকে অভিযোগ না তুললে তোর খবর আছে। কে তোকে ঠেকায় আমি দেখবো’। নিরুপায় হয়ে মঞ্জিলা তার বাবা শামসুর রহমানকে সাথে নিয়ে চলে এসেছেন থানায়।উল্লেখ্য যে বাঁশঘাটা গ্রামের শামসুর রহমানের মেয়ে এইচএসসি পাস মঞ্জিলা ঢাকায় ক্রাউন শিল্পে চাকুরি করতেন। তার গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে ইটভাটার ম্যানেজার আবু সাঈদ তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এমনকি তার বাবা কোথাও বিয়ে ঠিক করতে চাইলে সাঈদ বাধা দিতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে আবু সাঈদ তাকে দৈহিকভাবে ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মঞ্জিলা জানান ছয় বছর ধরে প্রেম চলছে তাদের মধ্যে। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল সে। এখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তার পরিবারের সদস্যরা টাকা পয়সা দিয়ে মিটাতে চায়। তিনি বলেন টাকায় প্রেম ভালবাসা বেচাকেনা করা যায় না।সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মানিক বলেন মঞ্জিলাকে আমরা থানায় এনে রাতেই আবার বাড়ি পৌছে দেই। সকালে তিনি নিরাপত্তার কারণে ফের এসেছেন থানায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমেনা বেগম বলেন আমরা এ ঘটনার সমাধান চাই। মেয়েটিকে আইনগত সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।মঞ্জিলা জানান এখন তিনি তার বাবা মার কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন না। আবু সাঈদ পালিয়ে রয়েছেন । তার মা খোদেজা ও বোন সাবিহা তাকে মারধর করে বের দিয়েছে। এখন তিনি কী করবেন, কোথায় দাঁড়াবেন , জানালেন মঞ্জিলা।
Comments are closed.