January 15, 2025, 10:38 pm
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকালে তাকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী।
এ ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামী করে গতকাল ওই থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী।
গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়া।
ঘটনার দিন এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লায়ার্সসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলারও আসামি সাইফুর। ছাত্রলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে হোস্টেল সুপারের বাংলো দখলেরও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের টিলাগড় এলাকায় স্বামীর সাথে প্রাইভেটকারে ঘুরতে যান দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার ওই তরুণী। তারা বেশ কিছুক্ষণ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ক্যাম্পাসে সময় কাটান।
অভিযুক্ত ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী এসময় ওই তরুণীকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে ওই যুবকরা তাকে স্বামীকে মারধর শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ওই যুবকেরা এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে একটি কক্ষে চার যুবক ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মধ্যরাতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলেই ছাত্রাবাসে জুয়া ও মাদকের আসর বসাতো বলে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এছাড়া এরাই টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত। করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা কলেজ ছাত্রাবাসে এরা প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক-জুয়ার আড্ডা বসাতো।
Comments are closed.