January 15, 2025, 7:06 am

সাংবাদিক আবশ্যক
সাতক্ষীরা প্রবাহে সংবাদ পাঠানোর ইমেইল: 1linenewsagency@gmail.com
সুন্দরবন রক্ষায় বাঘ বাঁচাই

সুন্দরবন রক্ষায় বাঘ বাঁচাই

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে আসছে সুন্দরবন। আর এই সুন্দরবনকে টিকিয়ে রেখেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ এ প্রতিপাদ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে আজ ২৯ জুলাই-২০২২ বাঘ দিবস পালন করা হচ্ছে। বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করতে এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করতেই দিবসটি পালন করা হয়।
পৃথিবীর মাত্র ১৩টি দেশে এখন বাঘের অস্তিত্ব আছে। বাঘ বাঁচাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের এসব দেশের সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বহুমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সুন্দরবনে বাঘ রক্ষার জন্য আবাসস্থলের উন্নয়ন ও নিয়মিত টহল প্রদান করে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যথোপোযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উভয় সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ, বাঘ ও শিকারী প্রাণী পাচার বন্ধ, দক্ষতা বৃদ্ধি, মনিটরিং ইত্যাদির জন্য ২০১১ সালে একটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি প্রোটোকলও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এভাবেই ইতোমধ্যে বাঘ সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান রক্ষায় বাঘ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কিছু চোরাশিকারি ও বনদস্যুদের জন্য সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যমতে সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ১১৪ টি। তবে সাম্প্রতিক বনদস্যুদল আত্মসমর্পণের ফলে বাঘ নিধন কমে এসেছে। দুই বছর আগেও বিভিন্ন কারণে বাঘ লোকালয়ে এলে হত্যা করা হতো। এখন সেটা বন্ধ হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয় মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। কিছুদিন আগেও দেখলাম, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনে লোকালয়ে আসা বাঘকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবিকায় আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া। তাদের জীবন-জীবিকার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারকে আরো বেশি আগ্রহী হতে হবে।
সুন্দরবনকে বাঁচাতে, বনের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে বাঘ সংরক্ষণের বিকল্প নেই। এজন্য বাঘ সংরক্ষণের শুধু বন বিভাগ বা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আমাদের নিজেদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। বাঘ নিধন ও হরিণ শিকার বন্ধের জন্য ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনের ৩৬ ধারায় বাঘ শিকারি বা হত্যাকারী জামিন-অযোগ্য হবেন এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর সর্বনি¤œ ২ বছর কারাদ- এবং জরিমানা এক লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দ-িত হবেন। আইনটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বাড়াতে আবাসস্থল, খাবার এবং প্রজনন নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে হবে।


Comments are closed.

ইমেইল: arahmansat@gmail.com
Design & Developed BY CodesHost Limited
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com