November 11, 2024, 5:14 am
সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী ফাঁড়িতে হরিণ শিকার করে আতিথেয়তা করায় ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১ মার্চ বিভাগীয় বন সংরক্ষক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ফাঁড়িতে হরিণ ধরা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়। তদন্ত করে আমি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। জমা দেওয়ার পর ১ মার্চ ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ফাঁড়ির আশপাশে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য জাল দিয়ে ঘেরা থাকে। গত মাসে ওই ফাঁড়িতে দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর জালে সুন্দরবনের একটি হরিণ আটকা পড়ে। এরপর হরিণটিকে ধরে ফাঁড়িতে জবাই করা হয়। এরপর কী হয়েছে সেটি আমাকে তদন্ত করতে বলা হয়নি।
জানা গেছে, নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য এলাকায় ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারামের আত্মীয়রা বেড়াতে আসেন। এ সময় হরিণ শিকার করে তাদের আতিথেয়তা করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বোর্টম্যান ফজলুল হক গোপনে মুঠোফোনে ধারণ করে বিভাগীয় বন সংরক্ষকের দফতরে পাঠান। এরপর শুরু হয় তদন্ত।
অভিযোগের বিষয়ে নোটাবেঁকী ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বনকর্মীদের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের কারণে আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি নোটাবেঁকী ফাঁড়িতে হরিণ শিকার করে জবাই করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ফাঁড়ির ইনচার্জ। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে অন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যে অপরাধী তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
Comments are closed.